বরুড়া উপজেলাধীন প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ব্যাপী করোনাকালিন সময়ে যেইসব স্বেচ্ছাসেবীরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যাণে এস কিউ ফাউন্ডেশনের মানবিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সেইসব করোনা যোদ্ধাদের নিয়ে এস কিউ ফাউনফেন্ডশনের উদ্যোগে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১.০০ ঘটিকার সময় বরুড়ার ঝলম বাজার অবস্থিত হক কাবাব হাউজ এন্ড পার্টি সেন্টারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা ও স্বেচ্ছাসেবকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠানে এস কি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. তোফায়েল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার মজুমদার, বরুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বাহাদুজ্জামান বাহাদুর, বরুড়া জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, বরুড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস আহমদ, গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড এর শাখা ব্যবস্থাপক ও সমাজকর্মী মো. শাহনূর আলম, ঝলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
মো. ইদ্রিস তালুকদার ও আজহার সুমনের উপস্থাপনায় ওমিক্রন মোকাবেলায় এস কি ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব ও করণীয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মিলন মেলায় এই ফাউন্ডেশনের বরুড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের করোনাকালীন সময়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তাদের নানান অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন।
এস কিউ ফাউন্ডেশনের এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীদের কে মধ্যাহ্নভোজ সহ তাদের মানবিক কাজের স্বীকৃতি সরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রাণবন্ত এই আয়োজনে এস কিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান শফি উদ্দিন শামীম এর মানবিক কর্মকান্ডের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে একের পর এক বক্তারা ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, করোনাকালীন সময় সারা বাংলাদেশের চিত্র ছিল ভয়াবহ আর বরুড়ার চিত্র ছিল অন্য রকম! কারণ বরুড়ায় এক কিউ ফাউন্ডেশন যে পরিমাণ ত্রাণ,আর্থিক সহযোগিতা ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন তা বাংলাদেশে বিরল। মানবতার সেবায় এস কিউ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব তোফায়েল হোসেন এর গ্রহণযোগ্য ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। তোফায়েল হোসেন এর বুদ্ধিদীপ্ততার কারণে বরুড়ার এক ঝাঁক মেধাবী তরুণরা নিজেদের কে বিলিয়ে দিয়েছিলেন মানব সেবায়।
প্রধান অতিথির আলোচনায় মো. আনিসুল ইসলাম বলেন, আমি বরুড়ায় উপজেলা নির্বাহী হিসেবে প্রায় ২৬ মাস অতিক্রম করে চলেছি কিন্তু এখনো এস কিউ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার শফিউদ্দিন শামীম এর সরাসরি সাক্ষাৎ লাভ করতে পারিনি। তবে তিনি নিজেকে কর্ম ব্যস্ততায় রেখে যেভাবে বরুড়ার সাধারণ মানুষের কল্যাণে করোনাকালীন সময়ে কাজ করেছেন আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে নিয়ে গর্বিত। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে আজকের আয়োজনে যিনি সভাপতিত্ব করছেন তোফায়েল হোসেন এর মাধ্যমে বলতে চাই করোনাকালীন সময় এস কিউ ফাউন্ডেশন যেভাবে ভুমিকা রেখে বরুড়ার মানুষকে করোনার ভয়াবহ থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খাদ্য সেবা ও অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন তেমন ওমিক্রন মোকাবেলায় এস কিউ ফাউন্ডেশন আরো বেশি ভুমিকা রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।