একদিকে বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের চার-ছক্কার ব্যাটিং অন্য দিকে ঢাকায় এবং বাংলাদেশের ভিবিন্ন স্থানে শুরু হচ্ছে ডেঙ্গুর ব্যাটিং।
গত ডিসেম্বরে চীনে উৎপন্ন হওয়া করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যেই বিশ্বে ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, তার মধ্যেই ১১৭১ বাংলাদেশের। আর এদিকে ধিরে ধিরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গতবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রেকর্ড করা ছিল ১ লাখ যা বিগত ১৯ বছরের বাংলাদেশের মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের দ্বিগুণ ছিল। আর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১২১ জন। যা সরকারি এবং বেসরকারি হিসেবে এটাই ছিল বাংলাদেশ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, ২০০২ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয়। যেসময় রুগীর সংখ্যা ছিল ৫৫১১ জন।
২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে আক্রান্তদের সংখ্যা ১ লাখ ৭৪২ জন।
আইইডিসিআরের গবেষণার মতে ইংরেজি মাসের জুন-জুলাই থেকে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। তবে জুলাই-আগষ্ট মাসে বেশী ভয়ংকর হয়।
চলতি বছরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু ডেঙ্গুর আগমন। যত সময় বাড়ছে তত ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়তেছে। যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে ডেঙ্গু রুগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত বছর গুলো লক্ষ করলে বলা যায় এবছরও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশী দূরে নাই। এখনই যদি জোরালো ভাবে মশা নিধন অভিযান শুরু না করে তবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যেই ডেঙ্গু হবে অতিভয়াবহ।
তাই এখনই অভিযান শুরু করে প্রয়োজনীয় ডায়াগনস্টিক কিটস নিশ্চিত করতে হবে এবং হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রুগীর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা প্রস্তুত করতে হবে।
কারণ যখনই বৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে তখনই স্থানে স্থানে ডেঙ্গু বাহক মশা ডিম পেড়ে বেড়াবে। এবং ধিরে ধিরে ভয়বহতা সৃষ্টি হবে।
সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) জরিপে দেখা গেছে, গতবছরের ডেঙ্গু আক্রান্তের বেশিরভাগই ছিল শিশু, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষ।