মানবিক দুর্দশা মানুষকে কাছে টানে
দেহ নয়; আত্মার আতিথ্যে,
বিষাদের হিল্লোলে বিষণ্ন ব্যাকুলতা
মানুষের দৈবিক চিত্তে।
মানুষের দুর্দিনে সংকটে অনটনে
মানুষের পাশে সবে দাঁড়াবো,
বিপন্ন পীড়িত অসহায় মানুষের
সমব্যথী হয়ে হাত বাড়াবো ।
শ্রমজীবী মানুষের দিন কাটে অনাহারে
অভুক্ত সে সকল পরিবার,
সঙ্গনিরোধে তারা ঘরে ঘরে বন্দি
এখন আর নেই আয়-রোজগার।
ভাইরাস থেকে প্রাণ বাঁচাবার জন্যে
‘আইসোলেশন’ ভারি প্রয়োজন ,
তার আগে অনাহারে গরিবের প্রাণ গেলে
বৃথা এই বাঁচাবার আয়োজন।
এই যুক্তিতে তারা ঘর ছেড়ে পথে ঘাটে
ঘোরে যদি সন্ধানে জীবিকার,
নিশ্চিত জেনে রেখো দেশব্যাপী ঘটবেই
করোনার প্রকোপের বিস্তার।
বিত্তবানেরা এসো একে একে এগিয়ে
দুস্থের ঘরে দাও খাদ্য,
খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে ঘরে পানাহার
দিয়ে এসো যার যেটা সাধ্য।
নিজে নিরাপদে থেকে পীড়িতকে দাও সেবা
মানবতা বোধে হও দৃপ্ত,
আর কতো নিজ ধনে নিজ পরিবার নিয়ে
আত্ম-আরামে রবে লিপ্ত!
বিত্তের বাহাদুরি একদিন ঘুচে যাবে
মুছে যাবে পদবীর ক্ষমতা,
থাকবে না ভেদাভেদ উচ্চ ও তুচ্ছে
মৃত্যুই আনবে সে সমতা।
নির্ধন নিঃস্বের সাথী হলে আমরা
দুর্যোগে নিয়ে সহমর্ম,
মমতার মহিমায় তবে হবে পূর্ণ
স্বীকৃত মানবিক ধর্ম।