1. asifiqballimited@gmail.com : Asif Iqbal : Asif Iqbal
  2. Kamrulsohan55@gmail.com : কামরুল সোহান : কামরুল সোহান
  3. khoshbashbarta@gmail.com : ইউনুছ খান : ইউনুছ খান
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
খোশবাস বার্তা

ধেয়ে আসছে আম্ফান: আতঙ্কিত উপকূলের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
  • ১৩০৬ বার পঠিত

করোনাভাইরাসের বিপর্যয়ের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন থাকা নদীর পাড়ের মানুষদের। আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ভোলার বৃদ্ধ বাদশা মিয়া বলেন, ঝড়ের কথা শুনছি, ঝড় আসবে তাও জানি। করোনার ভয়ের মধ্য যদি আবার এই ঝড় শুরু হয় তাহলে আমাদের কী কোনো উপায় থাকবে। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কী হবে।

করোনাভাইরাসের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিয়ে সংকটে পড়েছেন ভোলার উপকূলের মানুষ। ঝড়ের আগাম বার্তা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কর্মহীন এসব মানুষ যেন অজানা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়েছেন।

নিরাপদ আশ্রয় কিংবা জীবন বাঁচানোর চিন্তা না করে তারা নিজেদের বসতঘর আর সম্পদ রক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ঝড়ে না জানি কি হয়, এমন চিন্তার তাদের চোখ-মুখে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে আম্ফান। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঝড় মোকাবিলায় ৩টি ধাপে প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঝড়ের সময় এবং ঝড় পরবর্তী সময়ে করণীয় বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া পাড়ে বাঁধে আশ্রিত এবং ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপচরের বাসিন্দা ফাতেমা বলেন, ঝড়ের কথা শুনেছি, আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। যদিও করোনার কারণে কষ্টে দিন কাটছে, বেশি কিছু হলে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো কিন্তু ঝড়ে যদি ঘর ভেঙে যায়, তাহলে কোথায় আশ্রয় নেব।

বাঁধের পাশে আশ্রিত একটি পরিবার জানায়, আমরা নদীর কূলে থাকি, সামান্য বাতাস হলেই ঘর নড়বড়ে হয়ে ওঠে, ঝড় হলে তো পুরোটাই ভেঙে যাবে। ঝড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের রক্ষার করলেও বসতঘর রক্ষা হবে কীভাবে।

ঝড় মোকাবিলা আর উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, করোনার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে মানুষের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হয় সে জন্য ১১০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে কাজ করছে সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ সবাই একযোগে কাজ শুরু করেছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলের সব বাসিন্দারের নিরাপদে আনতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও মেডিক্যাল টিম ও কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় ঝূঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে।

এছাড়াও আশ্রয় নেওয়া বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য আলাদা টিম গঠন করেছি, তারা তাদের যত্ন করবে। ইতিমধ্যে কয়েক দফা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

খোশবাস বার্তা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
সত্বাধিকার © খোশবাস বার্তা ২০১৬- ২০২৫
ডেভেলপ করেছেন : TechverseIT
themesbazar_khos5417