কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের শাহাপুর বাজার-হাজিপাড়া সড়ক নির্মানে নিম্মমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থাণীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের অাওতাধীন সড়কটি দীর্ঘ ১৯ বছর পর কাজ শুরু হয় গত জানুয়ারী মাসে।শুরুতেই কাজটির মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে।স্থানীয় সচেতন জনগনের চাপে পড়ে কাজটি ভালোভাবে শুরু করলেও পরবর্তি সময়ে এসে সড়ক নির্মানে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মূখিন হয় এলাকাবাসি।সড়ক নির্মানে সবচেয়ে বাজে ইট,কংক্রিট ব্যবহার করছে ঠিকাদার।
স্থানীয়রা মনে করেন,এ ধরনের ইট ও কংক্রিট দিয়ে সড়ক নির্মান করার চেয়ে না করাই অনেক শ্রেয়।সড়ক নির্মান করার জন্য যে ইট ও কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে তা যেকোন মানুষ হাত দিয়ে গুড়ো করে ফেলতে পারে।সরকারি সড়কের কাজ এভাবে জনগন কত পাহারা দিয়ে করবে??
স্থাণীয়রা আরো বলেন,এ ধরনের ইট ও কংক্রিট দিয়ে সড়ক নির্মানের প্রয়োজন নাই।যদি ভালো ইট ও কংক্রিট ব্যবহার না করে তাহলে আমাদের নামের সড়কের দরকার নাই।আমরা ভাঙ্গা সড়কে চলাচল করবো তবু নিম্মমানের ভঙ্গুর ইট কংক্রিটের দ্বারা নির্মিত সড়কের প্রয়োজন নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক নির্মানের জন্য কংক্রিট আনলে স্থানী সচেতন মানুষের নজরে অাসলে স্থানীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।তারা এ ধরনের কংক্রিটের গাড়ি ফেরত পাঠায়।
স্থানীয় বগাবাড়িয়া, হাজিপাড়া গ্রামের মানুষের দাবি ভালো মানের ইট ও কংক্রিট দিয়ে সড়ক নির্মান করতে হবে। তা না হলে সড়কে আর ফোটা কাজ করতে দেওয়া হবে না”।
এ বিষয়ে সড়কের ঠিকাদার শামছুল হকের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি”।
এ বিষয়ে ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার বলেন,আমি বিষয়টি জেনেছি।ইউএনও মহোদয় এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব “।
বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফুয়াদ হাসান জানান,বিষয়টি আমি জেনেছি।আমি চাই কাজটি ভালোভাবে করুক।আমি ঠিকাদারকে বলেছি ভালোভাবে কাজ ননা করলে এ ধরনের নিম্মমানের ইট কংক্রিট দিয়ে কাজ করার প্রয়োজন নেই।কাজ আপাপত বন্ধ থাকুক।তিনি আরো জানান,কাজটি ভালোভাবে করতে হবে।আমি রবিবারে সড়কটি পরিদর্শন করবো”।
এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন,আমি বিষয়টি অবগত ছিলাম না।এখন যেহেতু জেনেছি আমি এই মুহুর্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।আপনারা নিশ্চিত থাকুন সড়কের কাজটি খুব ভালোভাবেই হবে “।