করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ স্কুলগুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপিএ এবং বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাগুলো তাদের নির্দেশিকায় বলেছে, এই মহামারীতে শিক্ষার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা পুষিয়ে নিতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো, নীতি সংস্কার, সুস্থতা ও সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে।
গত বুধবার ইউনিসেফ তাদের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশিকা প্রকাশের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৩০ কোটি শিক্ষার্থী এ করোনাভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত। ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপিএ এবং বিশ্বব্যাংক হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল, এই মহামারীর কারণে শিক্ষার কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, শিশুদের পড়াশোনা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিশু যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং পুষ্টির জন্য স্কুলের ওপর ভরসা করে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বন্ধ স্কুলগুলো পুনরায় খোলার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপিএ এবং বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থাগুলো তাদের নির্দেশিকায় বলেছে, এই মহামারীতে শিক্ষার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা পুষিয়ে নিতে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো, নীতি সংস্কার, সুস্থতা ও সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে।
গত বুধবার ইউনিসেফ তাদের ওয়েবসাইটে এ নির্দেশিকা প্রকাশের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৩০ কোটি শিক্ষার্থী এ করোনাভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত। ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপিএ এবং বিশ্বব্যাংক হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল, এই মহামারীর কারণে শিক্ষার কার্যক্রম বন্ধ হওয়া, শিশুদের পড়াশোনা এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিশু যারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা এবং পুষ্টির জন্য স্কুলের ওপর ভরসা করে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে জাতীয় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় হতে হবে। সেক্ষেত্রে শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ এবং সামগ্রিক জনস্বাস্থ্য বিবেচনার ভিত্তিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং আর্থ-সামাজিক সম্পর্কিত সুবিধা এবং ঝুঁকির মূল্যায়ন বিবেচনায় নিতে হবে।
তারা আরও বলেছে, বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মনো-সামাজিক সহায়তা এবং পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাসহ বিদ্যালয়ের উন্নত শিক্ষার এবং আরও ব্যাপক সহায়তার সঙ্গে স্কুলগুলো কীভাবে আরও ভালভাবে পুনরায় খুলতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।
আন্তজার্তিক এ সংস্থাগুলো জানায়, এ নির্দেশিকা স্কুলে ফিরে আসার পরে কীভাবে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে হয় সে সম্পর্কে ব্যবহারিক পরামর্শ দেবে।
নির্দেশিকায় রয়েছে- জনস্বাস্থ্যে নজর দিয়ে জরুরী পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার এবং বন্ধের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা, প্রান্তিক ও যেসব শিশু স্কুলের বাইরে তাদের স্কুলে আনা এবং দূরবর্তী শিক্ষার পদ্ধতিগুলোকে শক্তিশালীকরণ ও মানোয়ন্ননের নীতি সংস্কার করতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীল করতে শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে। এমন পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে যা রোগ সংক্রমণ হ্রাস করে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো সরবরাহ করে এবং হাত ধোয়ার জন্য সাবান, পরিষ্কার পানি ব্যবহার, সামাজিক দূরত্বের বিষয় এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের সুস্থতা এবং সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং স্কুলে খাওয়ানোসহ প্রয়োজনীয় স্কুল-ভিত্তিক পরিষেবা জোরদার করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফরে বলেন, ‘অসমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যের দুর্বলতা, সহিংসতা, শিশুশ্রম এবং বাল্যবিবাহ ও স্কুলে বাদ পড়া শিশুরা দীর্ঘমেয়াদী হুমকির মধ্যে। যে শিশুরা বেশিদিন বিদ্যালয়ের বাইরে থাকে, তাদের আর ফিরে আসার সম্ভাবনা কম থাকে। যখন আমরা নিরাপদ মনে করব তখন যদি স্কুলগুলো পুনরায় চালু করার বিষয়টি অগ্রাধিকার না দিই তাহলে শিক্ষায় বড় ধরণের বিপর্যয় দেখতে পাবো।’
ইউনিসেফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ যখন স্কুলগুলো পুনরায় চালু করবে তখন ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি এবং বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল এডুকেশন কোয়ালিশনের অংশ হিসাবে দূরবর্তী শিক্ষার তুলনায় শ্রেণিকক্ষ-ভিত্তিক নির্দেশনার সুবিধাগুলি মূল্যায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানায়। এ ছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়েও নজর দিতে বলে।
বিশ্বব্যাংকের শিক্ষাবিষয়ক গ্লোবাল ডিরেক্টর জাইম সাভেদ্রে বলেন, স্কুলগুলো আবার খুলতে শুরু করার পরে শিশুদের স্কুলে এবং শেখার ক্ষেত্রে খাপ খাওয়ানোতে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিল। এই নির্দেশিকাটি জাতিসংঘের প্রধান সংস্থাগুলোকে একত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কাঠামো সরবরাহ করছে।