তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা শুরু থেকে কাজ করে আসছি। তবে যাত্রীরা সাধারণত বেশি ভাড়া দিতে রাজি নন। আবার কিছু কিছু বাসের ড্রাইভার দুই সিটেও যাত্রী পরিবহণ করেন। সব মিলিয়ে পরিবহনখাতে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ বুধবার থেকে পূর্বের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনে, তবে কেউ যদি সরকারি বর্ধিত ভাড়া দিয়ে পাশের সিট ফাঁকা রাখতে চান তাহলে তিনি রাখতে পারেন। অন্যতায় দুই সিটে যাত্রী পরিবহণ করা হবে।
এর আগে গত ৩১ মে গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছিল, আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাস চলাচলের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে নির্ধারিত ভাড়ার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশের মতো সিলেটও ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়।
তবে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে দিগুন-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে বাস কোম্পানিগুলো; এমন অভিযোগ ছিল প্রথম থেকেই। এছাড়া করোনার পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে যান চলাচল ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই সুযোগে আগের মতোই অতিরিক্ত যাত্রী বহন শুরু করে গণপরিবহনের মালিক শ্রমিকরা। বেশি ভাড়ার বিনিময়ে দুই সিটে একজন বসানোর নিয়ম ভেঙে এখন আসন ভর্তির পর দাঁড় করিয়েও যাত্রী নেওয়া শুরু হয়।