জানা গেছে, ১৮ শতকের প্রথম দিকে জকিগঞ্জের উপজেলা ও এর আশপাশ শাসন করতেন তখনকার জমিদার সাজিদ রাজা। অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ এ রাজা তার প্রাজাদের দেখভাল করার জন্য কাঠ দ্বারা নির্মিত গাড়ি ও হাতিতে সওয়ার হয়ে পুরো রাজ্য ঘুরে বেড়াতেন। জনগনের ন্যায় বিচার করার জন্য নিজ বাড়িতে নির্মাণ করেন বিচারালয়। ধর্মপ্রাণ এ রাজা ধর্র্মীয় কাজ করার জন্য নির্মাণ করেন মসজিদ। যা এখন ও মুসল্লিরা ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করছেন।
সাজিদ রাজার বাড়ির সামনেই মনোমুগ্ধকর কারুকার্য সম্মিলিত ঐতিহাসিক মসজিদ। জকিগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নামক বইয়ের বর্নণামতে ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দে মকদম মিয়া চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন এ মসজিদটি। অপরূপ সুন্দর ছোট এই মসজিদটি দেখলে মনে হবে না এটি নির্মাণ হয়েছে ২৭১ বছর পূর্বে। সমজিদের সামনেও রয়েছে নামাজের স্থান। ডান পাশে রয়েছে মিনারা আর বাম পাশে রয়েছে ছোট্ট হুজরাখানা। মসজিদের বাহির ও ভিতর মিলিয়ে একত্রে ১৫০জন লোক নামাজ আদায় করতে পারেন।
বর্তমানে এই মসজিদটি হয়ে উঠেছে একটি পর্যটক কেন্দ্র।প্রতিদিধ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন রাজার বাড়ি এবং মসজিদ দেখতে।