কোরবানি দাতারা বলছেন, দিনভর কোরবানি চামড়া নিয়ে অপেক্ষা করলেও ক্রেতারা আসছেন না। আবার অন্যান্য বছর স্থানীয় মাদ্রাসা কিংবা এতিমখানা চামড়া নিলেও এবার তারাও নিচ্ছেন না পশুর চামড়া। আর নিজেদের সংরক্ষণের জায়গা না থাকায় চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে দিতে হচ্ছে।
যারা কোরবানি দিয়েছেন তারা আক্ষেপ করে বলেছেন চামড়া হচ্ছে রপ্তানি যোগ্য একটি শিল্প পণ্য। গত কয়েক বছর থেকে চামড়ার দাম কমে গেলেও অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এলাকাভিত্তিক কোরবানির চামড়া বিনা টাকায় সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এবারের ঈদ-উল-আযহার দিনে কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ চামড়া বিনা টাকায় সংগ্রহ করতে দেখা যায়নি। যার কারনে হাজার হাজার গরু ও অন্যান্য পশুর চামড়া শেষ পর্যন্ত পুতে ফেলতে হয়।
গত বছর বিভিন্ন এলাকায় অনেক চামড়া ব্যবসায়ীরা এক প্রকার পানির দামে চামড়া ক্রয় করলেও এ বছর উপজেলার কোথাও কোন চামড়া ব্যবসায়ীদের দেখা যায়নি।যার কারণে লক্ষ লক্ষ টাকার চামড়া পুতে ফেলতে হয়েছে।