সিলেট এম.সি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেধাবী শিক্ষার্থী কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের কাপ্তানপুর গ্রামের হাফিজ ইফজাল আহমদ চৌধুরীর হত্যাকারীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠেছেন।
ইফজাল হত্যাকান্ডের ২০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণাঙ্গ মামলা নিতে গড়িমসি সহ হত্যাকারীদের আটকে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিদিন কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা সহ সিলেট শহরে সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন সহ প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ২টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সম্মুখে কানাইঘাট যুব ফোরামের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থী ইফজাল হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন সহ হত্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে তাদের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী ইফজালকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল তৎপর রয়েছে।
খুনীদের রক্ষা করার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন শাহপরান থানায় হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে ইফজাল হত্যাকান্ড নিয়ে একাধিক সংবাদও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ইফজাল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে যে কোন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকবে বলে ঘোষণা দেন।
প্রিন্সিপাল আহমদ সালেহ বিন মালিকের সভাপতিত্বে ও কানাইঘাট যুব ফোরামের মুখপাত্র মহি উদ্দিন জাবেরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, গাছবাড়ী নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিসবাহ উদ্দিন, সিলেট জজ কোর্টের আইনজীবি খায়রুল আলম বকুল, গাছবাড়ী যুব সমাজের আহ্বায়ক বুরহান উদ্দিন, সৌদি প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ফারুক আহমদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য জুবের আহমদ, এমসি কলেজ ছাত্রনেতা ইব্রাহীম আলী।
অপরদিকে একই দিনে বিকেল ৫টায় কানাইঘাট সড়কের বাজারে ইফজাল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।