হবিগঞ্জের মাধবপুরে লকডাউন শিথিলে বেপরোয়া পৌরবাসী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণেও বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে যদিও প্রশাসনের অনুরোধে ২৫ তারিখ পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মাধবপুর বাজার কমিটি তারপরও খুলছে কিছু প্রতিষ্ঠান পাড়া-মহল্লায় খুলছে দোকানপাট বাড়ছে রাস্তায় মানুষের উপস্থিত।
এদিকে লকডাউন শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে মাধবপুর উপজেলা সড়কে বেড়েছে যানবাহনের ব্যস্ততা ব্যাংকের সামনে গ্রাহকের দীর্ঘ সারি পৌরসভা সড়কসহ পুরো শহরেই রিকশার রাজত্ব এছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যাও প্রতিদিন বাড়ছে কোথাও কোথাও দেখা গেছে ট্রাফিক জ্যাম কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই,
এদিকে মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি মেলায় মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে মুসল্লি তবে শুধু একটা জায়গায় শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকতে দেখা গেছে সেটি মসজিদে যেখানে সরকারি বিধি নিষেধ মেনেই নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
তবে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন যতই দিন যাচ্ছে ততই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এর মূল কারণ প্রশাসনের কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়ে এসেছে কিছু টা যেসব জায়গায় আগে থেকে তল্লাশি জোরদার করা হতো সেখানে এখন কিছুটা শিথিল দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ( ১২-মে) সকালে দেখা যায়, সড়কে দূরপাল্লার কোন গণপরিবহন নেই কিন্তু অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বেপরোয়াভাবে মাধবপুর পৌরসভাতে ঢুকছেতাছাড়া পৌর শহরের বেড়েছে সিএনজি-অটোরিকশার চলাচল পাশাপাশি গণপরিবহন না থাকার সুযোগে মূল সড়ক দখল করে নিয়েছে রিক্সা,
এসব মাধবপুর পৌর শহরের বাজারে ভোর ছয়টা থেকে ১১ পর্যন্ত অভিনব কায়দায় স্টেশনারি হার্ডওয়্যার কাপড়ের দোকান ইলেকট্রনিকসের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো তোয়াক্কাই করছে না ক্রেতা বা বিক্রেতার কেউ।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরস্পরের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও পুরো মাধবপুর পৌরসভাতে তা মানতে দেখা যায়নি কোন ক্রেতা বিক্রেতাকে যার ফলে ঝুঁকি বেড়েই চলেছে তবে অধিকাংশ দোকানদারের দাবি তারা পেটের দায়েই এই অভিনব কায়দা ও প্রশাসনের চোখের আড়ালে দোকান খুলেছেন অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত।