রংপুর ভিবাগে অন্তত আট জেলায় এক রোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে খামার মালিকেরা আতঙ্কিত। রংপুরের জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর, রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর, তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা, ইকরচালি সয়ার কাউনিয়া, পীরগাছা, মিঠাপুকুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারি ও কৃষকদের সাথে সাধারণ কথা বলে জানা যায়,সর্বপ্রথমে গরুর তীব্র ভাবে জ্বর আসে তারপর সারা শরীরে গোটা গোটা হয়ে যায় সাথে পানিও জমে যায় এবং খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রা নানা রকম ওষুধ আর ইনজেকশন দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছেন না।
অন্য দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে কোনও প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানা যায়।
গ্রামের কৃষকরা আফসোস করে জানান, তারা কোরবানির ঈদকে লক্ষ্য করে গরুদের মোটা তাজা করতেছে ভালো দাম পাওয়ার আশায়।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে, উত্তরের আটটি জেলার প্রতিটি উপজেলায় এখন গরুর এই দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিয়েছে। কোন প্রতিষেধক না থাকায় পালিত গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন এই অঞ্চলের মানুষ। অনেকে না বুঝেই পল্লী চিকিৎসককে মোটা অংকের টাকা দিয়ে হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, একমাত্র সচেতন থাকাই এই রোগের প্রতিকার।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বর্ণনা করেছেন, সংক্রমকব্যাধি লাম্পি রোধে গোয়াল ঘরের মশা-মাছি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে। কারণ আপাতত কোনো ওষুধ নেই এ রোগের।
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম অনেক আগে সাংবাদিকদের বলেছেন, মশা মাছির কারণে এসব রোগ ছড়াচ্ছে। আগে এসব রোগ ছিলো না। আমাদেরকে একটু সচেতন এবং পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।