পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে মোস্তফার সাথে পটুয়াখালি শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকার মকবুল হোসেনের কন্যা কলির বিয়ে হয়। মোস্তফা শহরের ফজিলাতুননেছা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে খন্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
কলি বেগম চলতি মাসের ৬ তারিখ চিকিৎসকের পরাম’র্শ অনুযায়ী সন্তান প্র’সবের জন্য শহরের মায়ো ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ওই দিনই অ’স্ত্রপ’চা’রের মাধ্যমে পুত্র সন্তান প্র’সব করেন কলি। পরে সুস্থ হয়ে ১১ জানুয়ারি ক্লিনিক থেকে বাসায় যান।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কলি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক কলির স্বামী মোস্তফা সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে স্ত্রী’কে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাৎক্ষণিক কলিকে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসকের কথায় ওষুধ কিনতে হাসপাতা’লের সামনে যান মোস্তফা।
এসময় মোবাইলে স্ত্রী’র মৃত্যুর খবর শুনে সেখানেই ঢলে পড়েন মোস্তফা। স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মাজাহারুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পটুয়াখালী মেডিকেল কলজে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৃত কলি বেগম বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার ৮ থেকে ১০ মিনিট পর তিনি মারা যান। স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু’র পর তাদের একমাত্র নবজাতক সন্তানকে নিয়ে দুই পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাঁশবাড়িয়া গ্রাম।