আজ বুধবার সকাল ১১টায় এ উদ্যোগের পক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করে এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়।
বরিশাল কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশ একই স্থানে এই উদ্যোগের বিপক্ষে গণস্বাক্ষর ও জমায়েত কর্মসূচী পালন করে। এ সময় উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি শ্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর রোডের একাংশ বন্ধ করে দুই পক্ষের মাঝামাঝি অবস্থান করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘অশ্বিনী কুমার দত্ত কেবল ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বরিশালে নেতৃত্বই দেননি, তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এখানে যখন কলেজটি হয়েছে, তখনই এই প্রতিষ্ঠানটি তার নামে হওয়া উচিত ছিল। এখন মন্ত্রণালয় থেকে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর বিরোধিতা করা অকৃতজ্ঞতা।’
নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে সরকারি বরিশাল কলেজের সাবেক ভিপি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরিশাল কলেজ নামটি ৫০ বছর পেরিয়েছে। এর পরিবর্তন যুক্তিযুক্ত নয়। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ প্রত্যাহারের দাবী করছি।’
প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অশ্বিনী কুমার হলের সামনের রাস্তা বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও শ্লোগানে মুখরিত ছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে সেখানে অবস্থান নেয়।
বেলা সাড়ে ১২টায় বাসদ মানববন্ধন শেষ করে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেয়। নামকরণের বিপক্ষে অবস্থানকারীরা আরও কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করে চলে গেলেও, গণস্বাক্ষর কর্মসূচী চলতে থাকে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডকে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম ‘মহাত্মা অশ্বিনী কুমার’ নামে পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তখন থেকে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশ এই নাম পরিবর্তনের বিরোধিতা শুরু করে।