বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের সাগরদী দরগাহ বাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান। অভিযান চালিয়ে একটি নকল অষুধের কারখানা আবিস্কার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় সেখানে গ্লোব, এসিআই, কেমিস্ট, জেনারেল, জেসন, কোহিনূর ইত্যাদি কোম্পানির মোড়কে বিভিন্ন নকল ঔষধ হক্সিসল, হ্যান্ডবার, পেভিসেপ, পলিডন, প্যারাসুট, হিসটাসিন ইত্যাদি) উৎপাদিত প্রায় ১০ কোটি টাকার নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল এবং সরঞ্জাম জব্ধ করা হয়।
সিলগালা করে দেয়া হয় কারখানাটি। এদিকে নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিপননের সাথে জড়িত থাকায় কারখানা সংশ্লিস্ট ২জনকে আটক করে এক বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে ২জনের প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা করে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরীজের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, তাদের কোম্পানীর সহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়কে ঐ কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন করে বাজারজাত করা হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিষয়টি তিনি বরিশালের ড্রাগ সুপারকে জানান।
প্রশাসন সূত্র জানায়, ঐ এলাকার হদুয়া লজ-২ নামে একটি বাড়িতে চলছিলো বিভিন্ন কোম্পানীর নকল ওষুধ তৈরীর কার্যক্রম। ঐ বাড়ির মালিক ঢাকার বাবু বাজারে ওষুধের ব্যবসা করে। বরিশালে তার বাড়িতে উৎপাদিত এসব নকল ওষুধে খ্যাতনামা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়ক লাগিয়ে ঢাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ঐ ওষুধ ছড়িয়ে দেয়া হতো সারা দেশে।
ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে সোমবার দুপুরে ঐ কারখানায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় কারখানাটি সিলগালা করে দেয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দকৃত নকল ওষুধ ও কাঁচামাল সোমাবার বিকেলে নগরীর রসুলপুর চরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করার পাশাপাশি অনুমোদনহীন কারখানায় নকল ওষুধ তৈরীর সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।