স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতু দুটি। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার পিন ও ফিশপ্লেটে মরিচা ধরে ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পঁচে ঝুরঝুর করছে অনেক স্লিপার। বহু স্লিপারে ডগস্পাই নেই। অনেক স্লিপারে ডগস্পাইয়ের পরিবর্তে রেল আটকানো হয়েছে বাঁশের খুঁটি দিয়ে। সেগুলোও রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর মাসে একবার, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীর কমপক্ষে মাসে চারবার এবং ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, রেল খালাসি ও মিস্ত্রিদের প্রতিদিন রেলপথ পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জরাজীর্ণ রেল সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর পর আলোচনায় আসে রেলপথ ও সেতুর দুরবস্থার চিত্র। রাজধানী ঢাকার কাছে পুরো দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের অন্যতম এই দুই সেতুর এমন বেহালে আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন।