সোমবার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম টিপু যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ২টি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
সিফাতের সঙ্গে গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথ গতকাল রবিবার জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। রবিবার রামুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তার জামিন হয়।
সিফাতের জামিন শুনানির জন্য আজকে দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। শিপ্রা ও সিফাত দুজনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
ওই সময় ডকুমেন্টারি তৈরির কাজে রাশেদের সঙ্গে থাকা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট নিহত রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।