আজ (৯ আগস্ট) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে নগরীর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণসহ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ক্যান্সারেও আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৩ জুলাই এক পরীক্ষায় তাঁর ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। বাংলাদেশ ও ব্যাংককে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। সাভারে সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন অব প্যারালাইজড কেন্দ্রেও চিকিৎসা নিয়েছেন দীর্ঘদিন।
গুণী এই মানুষের জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। তাঁর বাবা ওস্তাদ জাদব আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন।দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে চলে আসেন। তিন ভাই ও দুই বোনের সঙ্গে এই কলোনিতে বেড়ে উঠেন এই শিল্পী।
সংগীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে কাজ করেন দীর্ঘদিন।
আলাউদ্দিন আলী বাংলাদেশের বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার। এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সংগীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ওই রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেনি।
অসংখ্য গান সুর করেছেন আলাউদ্দিন আলী। তার সুর করা উল্লেখযোগ্য গান হলো—‘ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি’, ‘প্রথম বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়’, ‘আছেন আমার মুক্তার’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে’ প্রভৃতি।