শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম প্রেস ব্রিফিংএ তথ্য জানান।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, ‘চার-পাঁচ ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাতে আফতাবনগর পশুর হাট থেকে এক লাখ ১৩ হাজার টাকায় একটি গরু কেনে। তারা বেপারিকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের একাধিক বান্ডিল দেয়। বেপারি দ্রুত ক্রেতাদের কাছে গরু হস্তান্তর করেন। কিন্তু বেপারি যখন বান্ডিল খুলে টাকা গোনা শুরু করেন তখন দেখতে পান বান্ডিলের ওপরের ও নিচের নোট ৫০০ আর ১০০০ টাকার হলেও ভেতরে সব ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট। বিষয়টি দ্রুত তারা সবাইকে জানায়। এরপর পুলিশ এই প্রতারক চক্রটিকে গ্রেফতার করে।’
এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে এমন প্রতারণা করে আসছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও জানায়, বান্ডিলের ওপরে ও নিচে দুটি করে ১০০০ টাকার বা ৫০০ টাকার নোট রেখে ভেতরে সব ছোট নোট সাজিয়ে ইলাস্টিক দিয়ে বান্ডিল তৈরি করে প্রতারকরা। এরপর তারা গরুর দরদাম করার পর টাকা দিয়ে দ্রুত হাট থেকে বের হয়ে যায়।
বাড্ডা থানার ওসি জানান, প্রথমে চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর প্রযুক্তির সহায়তায় মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, বিভিন্ন পশুর হাট থেকে এভাবে প্রতারণা করে আটটি গরু হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করেছে তারা।
তাদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে।
এই প্রতারক চক্রের কাছ থেকে একটি পিকআপ ভ্যান, একটি প্রাইভেটকার, এক হাজার টাকার ৫৮টি নোট, ১০০ টাকার ৩২৬টি নোট, ৫০ টাকার ৯০টি ও ১০ টাকার ৪৮৭টি নোট জব্দ করা হয়েছে।