মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন জলাশয়ের পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। অবৈধভাবে পয়ঃনিশষ্কাশন লাইন জলাশয়ে ফেলাতে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অ্যামোনিয়া বেশি থাকলে মাছ চাষ করা সম্ভব হয় না। আমাদের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পুকুর, জলাশয় ও লেকের পানি দূষণ বন্ধ করতে হবে।’
অবৈধভাবে পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের সংযোগ যাতে জলাশয়ে দেওয়া না হয় এজন্য তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি এ পুকুরে ১ হাজার ৮০ টি রুই, ৩০০টি কাতলা, ১ হাজার ৫০টি মৃগেল ও ১৫০টি কালিবাউস মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
মেয়র বলেন, ‘১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণভবন লেকে পোনামাছ অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলনের শুভ সূচনা করেন। জাতির পিতা মাছকেও বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন এবং মৎস্যসম্পদ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান খাত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। জাতির জনকের ভবিষৎবাণী আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, গত ১১ বছরে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে দেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে জনপ্রতি দৈনিক ৬০ গ্রাম চাহিদার বিপরীতে ৬২ গ্রামের বেশি মাছ আমরা গ্রহণ করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।