শুক্রবার দক্ষিণ খানের দেওয়ান বাড়ীর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২ মাসের ব্যবধানে দুইজন পেশাদার সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ কাউন্সিলর ডিএম শামীমের লোকজনের বিরুদ্ধে। আগের ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে।
সূত্র জানায়, দক্ষিণ খানের দেওয়ান বাড়ীর জামে মসজিদের কমিটি বদল করে নিজে কমিটি দিতে যান কাউন্সিলর শামীম। কিন্তু মসজিদের বর্তমান কমিটির তাতে সায় ছিল না। এ নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে মসজিদ কমিটির দেন-দরবার চলছিল। মসজিদ কমিটির বর্তমান নেতারা পূর্বে কমিটি বহাল রাখার কথা বললেও কিছুতেই শুনছিলেন না কাউন্সিলর। সেই ধারাবাহিকতায় কাউন্সিলর আজকে কমিটি দিতে যাবে এবং সেখানে হট্টগোল হতে পারে বলে স্থানীয় সাংবাদিককে ডাকে মসজিদের বর্তমান কমিটি। নামাজের পর এ নিয়ে একটি বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল।
জুমার নামাজের খুৎবা শেষ করে ইমাম ছোট আজান দিতে মুয়াজ্জিনকে অনুমতি দেন। এ সময় কিছু কথা বলবে বলে কাউন্সিলর বক্তব্য শুরু করেন। এমন সময় সাংবাদিক খোকন মোবাইল ফোনে কাউন্সিলর ডিএম শামিমের বক্তব্য রেকর্ড করতে চাইলে পাশে থাকা কাউন্সিলরের লোকজন খোকনের পরিচয় জানতে চায়। খোকনের সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে আট-দশজন মিলে খোকনকে বাহিরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তার মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে মসজিদের আঙিনা থেকে খোকনকে তুলে নিয়ে কাউন্সিলর অফিসে আটকে রাখে। পরে অন্য সাংবাদিক ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় খোকনকে ছাড়িয়ে এনে টঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর ডিএম শামীম বলেন, উনার (খোকন) গলায় ফিতা বা হাতে ক্যামেরা নাই বলে ওরা তাকে চিনতে পারেনি। তাই ধরে নিয়ে আসছে এবং প্রতিপক্ষের লোক ভেবে মারধর করা হয়। তিনি বলেন, সাংবাদিক সাহেবের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই।
তবে সাংবাদিক খোকন বলেন, সাংবাদিক পরিচয় জানার পরই তার উপর হামলে পড়ে কাউন্সিলরের লোকজন।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও এলাকায় আমিনুল ইসলাম নামে বাংলাদেশ বুলেটিনের এক সাংবাদিককে মারধর করার বিষয়ে কাউন্সিলরের লোকজনের নামে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদও প্রচার হয়েছে।