সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন করা এবং এডিস মশার বংশবিস্তারের স্থান নিয়ন্ত্রণ করা না হলে করোনা মহামারির মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
ডিএনসিসির তথ্য মতে, প্রথম দফার অভিযানে পরিদর্শন করা স্থাপনার ১.২০ শতাংশে মিলেছিল এডিসের লার্ভা। তবে এবার সে সংখ্যা ০.৬৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এখনো পরিদর্শন করা বাড়ির ৬০.১০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া গেছে। গতকাল ১০ দিনের চিরুনি অভিযান শেষে তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র মিলেছে।
এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় দফায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে (চিরুনি অভিযান) নেমে ৮৯৮টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ১০ দিনের এই অভিযানে সংস্থাটি ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করেছে। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ৪ জুলাই থেকে আজ বুধবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত একযোগে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে ৫ জনের একটি দল স্থাপনা পরিদর্শন করছে। অর্থাৎ, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ জন অভিযান চালান। মশকনিধনকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করেন।
তবে প্রথম চিরুনি অভিযানে ৬৯ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ ছিল। সে হিসাবে দ্বিতীয় অভিযানে এডিসের লার্ভা এবং লার্ভা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ উভয়ের হারই কমেছে। তবে লার্ভা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ থাকা স্থাপনার হার এখনো অনেক বেশি।
আরও পড়ুন-
গত বছরের তুলনায় এডিস মশা কম,
নেই ডেঙ্গু রোগীওডেঙ্গু দমনে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান শুরু