দেশে দুই ধরনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান কাজ করে। একটি হলো কর্পোরেট ইভেন্ট, অন্যটি হলো ওয়েডিং ইভেন্ট। করপোরেট ইভেন্টে যারা কাজ করেন তারা সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, বীমা ও বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করেন। আর ওয়েডিং ইভেন্টে বিয়ে, জন্মদিনের প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে কাজ হয়।
ওয়েডিং ইভেন্টে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খোশবাস বার্তাকে ওয়ের্ডি আর্ট এর সিইও জনাব অনিক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ওয়ের্ডি আর্ট বাংলাদেশের ওয়ের্ডি ফটোগ্রাফি সেক্টরে বিগত ৬/৭ বছর যাবৎ সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসতেছে। ফটোগ্রাফি ও ডিওগ্রাফি সেক্টরে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। গত মার্চ থেকে করোনা মহামারী পরিস্থিতি কারণে সৃষ্ট সংকটে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে এই শিল্প। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত জুন মাস থেকে সীমিত আকারে খুলে দেওয়ার পর সাধারন মানুষ ও করোনা পরিস্থিতির সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করতেছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু বিয়েটা একটা পারিবারিক বন্ধন, সেহেতু অনেকেই ঘরোয়াভাবে বিয়ের স্মৃতিময় মুর্হুতকে ফ্রেমবন্ধি করে রাখার চিন্তা ও চেষ্টা করেন তাদের সে স্বপ্নকে সত্যি করতে ওয়েডিং আর্ট টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিগত ১লা জুন ২০২০ইং থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা মেনে আমাদের টিম এর সকল মেম্বার মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোবস ও প্রয়োজনে পিপিই পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে ইভেন্ট কাভার করছে।’
‘তারা আশাবাদি ইদ-উল-আযহার ছুটির পর সীমিত আকারে ও ছোট পরিসরে যারা ঘরোয়া পরিবেশে ও সেন্টারে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করাতে চান সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা মেনে ইভেন্ট কাভার করা হবে। এই ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি সেক্টরের সফলতা কামনা করছি। সকল মালিকপক্ষ ও ইভেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলে যেন আবার ঘুরে দাড়াতে পারে সে দোয়া ও আর্শিবাদ করছি।‘
ফটোগ্রাফি সেক্টরের সাথে সংশ্লিষ্ট ওয়েডিং ডেকোরেশন। ওয়েডিং আর্ট ডেকোর এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব প্রিন্স আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে, এর মধ্যে সমন্বয় করে স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে নিতে হবে। বিয়ে নামক পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এক ধরনের সামাজিক ও পারিবারিক চাহিদা। বিয়ের অনুষ্ঠান সবাই চায় যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী জাঁকজমক করতে। কিন্তু করোনা মহামারী এ সময়ে সাধ ও সামর্থ্য থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি কারণে সামাজিক সকল অনুষ্ঠান করা প্রায় অসম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রায় ৯০/৯৫ ভাগ রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টার মার্চ ২০২০ থেকে বন্ধ। গত রমজানের ইদ এর পর থেকে সীমিত আকারে সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। আর এর মধ্যে ঘরোয়াভাবে অনেকেই বিয়েশাদি করছে। সবাই চেষ্টা করছে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে শুধু দুই পরিবারের লোকজন এর উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করতে। তাদের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে অল্প খরচে বিয়ের দিনটিকে স্মৃতিময় করে রাখতে ওয়েডিং আর্ট ডেকোর এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ঘরোয়া ইভেন্ট এন্ড ডেকোর প্যাকেজ চালু করেছে।‘
ওয়েডিং আর্ট এর ম্যানেজার ও চিফ এডিটর রাজু আহমেদ জানান ইভেন্ট ডেলিভারি করার ক্ষেত্রে আমরা এখন অনলাইন ডেলিভারিতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। ওয়েডিং আর্ট এর কোর ফটোগ্রাফার মারুফ রহমান হৃদয় জানান প্রত্যেকটা ইভেন্ট এ আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সেবা দিয়ে যাচ্ছি।