নৌ মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌসচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেয়েছি। এটি প্রকাশ করা হবে। এ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং ডাকা হয়েছে।
অপর দিকে প্রতিবেদন সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, প্রতিবেদনটি পুরো দেখা হয়নি। যতটুকু জানি, ময়ূর-২ লঞ্চের চালকদের অসতর্কতা ও অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুই কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনে ময়ূর-২ লঞ্চের অনিয়ন্ত্রিত গতিকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়ূর-২ লঞ্চটি রং সাইডে চলছিল। এটি মর্নিং বার্ডের ডান দিকে দিয়ে চলার কথা থাকলেও বাঁ দিকে চলেছে। এ দুর্ঘটনার জন্য ময়ূর-২ লঞ্চের চার জন চালককে দায়ী করা হয়েছে। তারা হলেন—প্রথম মাস্টার মো. আবুল বাশার মোল্লা (২য় শ্রেণির মাস্টার), দ্বিতীয় মাস্টার জাকির হোসেন (৩য় শ্রেণির মাস্টার), প্রথম ড্রাইভার শিপন হাওলাদার (২য় শ্রেণির ড্রাইভার) ও দ্বিতীয় ড্রাইভার মো. শাকিল সিপাই (৩য় শ্রেণির মাস্টার)।
গত ২৯ জুন সোমবার ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) কাছাকাছি এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড লঞ্চ ডুবে যায়। ওই ঘটনায় মারা গেছেন ৩৪ জন।