এর আগে রাত পৌনে ৯টার দিকে লতিফুর রহমানের মরদেহ তাঁর গুলশানের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।
লতিফুর রহমান বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চিওড়া গ্রামের ফারাজ মঞ্জিলে মারা যান। এ খবর জানাজানি হলে তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপ, এসকেএফ এবং মিডিয়া স্টার লিমিটেডের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। বিকেল পাঁচটায় বাগানঘেরা বাড়ির পশ্চিম পাশে লতিফুর রহমানের মৃতদেহ গোসলের পর কাফনের কাপড় পরিয়ে তাঁকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তোলেন পরিবারের সদস্যরা। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় লাশবাহী গাড়ি।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর লতিফুর রহমানের মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর গুলশানের বাসভবনে। সেখানে ২৫ মিনিটের মতো রাখা হয়। এরপর মরদেহ গুলশান আজাদ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে লতিফুর রহমানের জন্য দোয়া চান তাঁর নাতি যারেফ আয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘চার বছর আগে এই দিনে আমার ছোট ভাই ফারাজ আইয়াজ হোসেন মারা যান। একই দিনে বিদায় নিলেন আমাদের নানাভাই। তিনি একজন সৎ ও নীতিনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। আপনারা তাঁর জন্য দোয়া করবেন।’
লতিফুর রহমান স্ত্রী, পুত্র, দুই কন্যাসহ আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। লতিফুর রহমানের জন্ম জলপাইগুড়িতে, ১৯৪৫ সালের ২৮ আগস্ট।
লতিফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।