শনিবার (২৭ জুন) রাতে মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, একজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মফির অফিসে অভিযান চালানো হয়। এসময় একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। তার লাইসেন্স করা পিস্তলের সঙ্গে উদ্ধার করা অস্ত্রের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এছাড়া লাইসেন্স করা পিস্তলের ২৫ রাউন্ড গুলির কোনো হদিস নেই। এর কোনো ব্যাখাও তিনি দিতে পারেননি। অভিযানে যে গুলি উদ্ধার করা হয়েছে তার বন্দুকের। তার মানে এই শীর্ষ সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্র দিয়ে অপরাধমূলক কাজ করত।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তার মফিজ উদ্দিন মফি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পাশাপাশি মোহাম্মদপুর এলাকায় ভূমিদখল, মাদকব্যবসার গদফাদার ছিল। পিচ্চি হেলাল জেলে যাবার পর থেকে মফি এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত।
২০০২ সালের ১ অক্টোবর খুন হন ঢাকা সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ওয়ার্ড কমিশনার কে এম আহমেদ রাজু। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে রাজুকে। শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল এই খুনের পরিকল্পনাকারী ছিলেন। এছাড়া কারাগারে বন্দী শীর্ষ থাকা অবস্থায় পিচ্চি হেলাল ও সাবেক কমিশনার তারেকুজ্জামান রাজীব দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুরে তছির উদ্দিন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় জেল থেকে বসে নির্দেশ দেন হেলাল।
কারাগারে থাকলেও ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে আগের মতোই ভয়ংকর ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল।