সংসদ মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার আরিফুল হক শনিবার (৬ জুন) বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কতজনের করা হবে, তার প্রকৃত সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। কারণ প্রতিনিয়ত তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন হচ্ছে। তবে প্রায় তিনশ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা পরীক্ষার জন্য সংসদ সদস্য মেম্বারস ক্লাবে একটি বুথ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নমুনা নিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে অধিবেশনে অংশ নেয়া এমপিদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
তিনি বলেন, ‘সংসদে যাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার দরকার ছিল তাদেরটা করাচ্ছি। এছাড়া অনেকে নিজ নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা করাচ্ছেন।’
এমপিদের পরীক্ষার ব্যাপারে চিফ হুইপ বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। কারণ আজকে টেস্ট করলাম কালকে যে পজেটিভ হবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে? তবে নিজেদের সেভ করার জন্য টেস্ট করলে ভালো। আমরা কীভাবে বলি?’
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জামালপুর-২ আসনের এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মো. মোস্তাফিজুর রহমান (সপরিবার), চট্টগ্রাম-৬ আসনের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল করোনায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে শহীদুজ্জামান সরকার ও এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী করোনাকে জয় করেছেন।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাসায় কর্মরত চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।