পুলিশ ২৮মে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। তবে বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা জানেন না বলে জানা যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রাম সোলাবাড়ি গ্রামের সাজাহান মিয়ার মেয়ে বিয়ে হয় টাঙ্গাইল জেলার মিজাপুর থানার আড়াইপাড়া গ্রামের মকিম ব্যাপারীর ছেলে মেহেদি হাসানের সাথে।
গত ১১ মে মেহেদি হাসান তার শ্বশুর বাড়ি ধামরাইয়ে বেড়াতে আসে। দুইদিন অবস্থানের পর সে নিজ বাড়িতে চলে যায়। ১৯ মে সে মির্জাপুরে করোনা ভাইরাসের নমুনা দেন। ২৫ মে তার রির্পোট পজেটিভ বলে তাকে জানান মির্জাপুর উপজেলা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।
এখবর শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের মাতব্বর হয়রত আলী, গোমগ্রাম সোলাবাড়ি যুবসংঘের সভাপতি মনির হোসেন ও আব্দুর রশিদ ২৫ মে ঈদের দিন সন্ধ্যায় মেহেদি হাসানের শ্বশুর সাজাহান, চাচা শ্বশুর আজাহার ও সামছুল হকের বাড়ি লকডাউন করা হলো বলে জানান।
এসময় শাজাহানের ও সামছুল হকের স্ত্রীর সাথে মাতব্বরদের কথাকাটি হয়। মাতব্বররা তাদের বাড়ি থেকের বের হতে নিষেধ করে চলে আসে। এতে ক্ষোভ আর অভিমানে সামছুল হকের স্ত্রী শুকুরজান ভোর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাদের মেয়ের জামাই প্রায় ১৪ দিন আগে এ বাড়িতে এসেছিল। অথচ ১৪ দিন পর এখন তাদের বাড়ি লকডাউন করে মাতব্বররা। এটা ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে।
লকডাউনকারী মাতব্বর মনির হোসেন ও হয়রত আলী সরকারি আদেশ ছাড়াই ওই গ্রামের তিন ভাইয়ের বাড়ি লকডাউন করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানেন এবং ওইদিন দুপুরে দুজন গ্রাম পুলিশও চেয়ারম্যান ওই বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান তারা।
ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধামরাইয়ের যাদবপুরে সোলাবাড়ি গ্রামের তিন ভাইয়ের বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারি গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক জানান, ধামরাইয়ে কোন বাড়ি লকডাউন করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি লাগবে।