জানা যায় বর্তমান বিশ্বে মীরসরাই ইকোনমিক জোন এর মত আকর্ষণীয় ইকোনমিক জোন খুব কমই আছে। আরো জানা যায়এ উপমহাদেশে সব থেকে বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হচ্ছে এটি যা চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে উপস্থিত। যা আয়তনে ৩০ হাজার একর এবং ভবিষ্যতে আরো ১৩ হাজার একর যোগ করা হবে। যা মিলিয়ে মোট আয়তন ৪৩ হাজার একর। যেখানে রয়েছে যাতায়াত এর বিশাল সুবিধা। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ শিল্প নগর। যাতে আরো সুবিধা বিমান বন্দর এবং সমুদ্র বন্দর দুটাই খুব কাছে।
আর এ বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর আকর্ষণ করে যোগ করা হয়েছে দেশের প্রথম বেসরকারি আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দর। এ সমুদ্র বন্দর টি তৈরি করা হচ্ছে মূলত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এর উপর চাপ না পড়ার জন্য। সমুদ্র বন্দরের কাজ মূলত শুধু এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করা। এবং এর অর্থ দাঁড়ায় এই ইকোনমিক জোনের নিজস্ব একটি ডেডিকেটেড সমুদ্রবন্দর থাকবে। এ সমুদ্র বন্দর এর মাদার ভেসেল ভিড় থাকবে ৪০ হাজার টনের।
এ সমুদ্র বন্দর টি পরিপূর্ণ হলে তখন বাংলাদেশ এর পরিচয় অর্থ নৈতিক ভাবে অন্যতম। তখন যদি বাংলাদেশ কে একটি দেহ ধরা হয় তবে শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে মাথা আর চট্টগ্রামের দুই সমুদ্র বন্দর হবে একটি ডান পা অন্য টি বাম পা।
দেশের মোট পাঁচটি সমুদ্র বন্দর ১, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর: ২, মংলা সমুদ্র বন্দর: ৩, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর: ৪, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর: এবং ৫, মিরসরাই ইকোনমিক জোন সংলগ্ন প্রথম বেসরকারি সমুদ্রবন্দর।