আজ বুধবার হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শূরার বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়। জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৩টা পর্যন্ত শূরা কমিটির বৈঠক চলে। ২০১৭ সালের পর শুরার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে মাদরাসার সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটি মজলিশে শূরার সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে শেখ আহমদকে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
২০১৭ সাল থেকে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আজকে শূরার সিদ্ধান্তে বাবুনগরীকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মজলিসে শূরার উল্লেখযোগ্য সদস্যরা হলেন- ঢাকার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা পরিচালক ও হাইয়াতুল উলয়া কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ও বেফাক যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন, ঢাকার খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া হামিউচ্ছুন্নাহ মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জী, ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী ও হাটহাজারীর ফতেপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী।
এ দিকে শূরা বৈঠক তথা মাদ্রাসার শীর্ষ পদে শাহ আহমদ শফীর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়ে তৎপরতায় প্রকাশ্যে আসা দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন শংকায় হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন ছিল।
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা। প্রায় ১২০ বছর ধরে দেওবন্দের পাঠ্যসূচিতে পরিচালিত হয়ে আসা বন্দরনগরী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দেশের মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে এটি সর্বপ্রাচীন ও বৃহৎ কওমি মাদ্রাসা।