প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত একাধারে যিনি একজন চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও একজন সমাজসেবি। নাক,কান গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে যার সেবার খ্যাতি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে অবধি বিস্তৃত।
কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামীলীগ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসাবে বেশ সক্রিয় প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল এবার জাতীয় সংসদে চান্দিনার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
কুমিল্লা-৭ চান্দিনার উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে বৈধ ঘোষণা করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। ১৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আর ২০ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। চান্দিনা উপ নির্বাচনে ৭ অক্টোবর ইভিএম এর সাহায্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নৌকা প্রতীকে লড়বেন আগামী চান্দিনার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত।
চান্দিনায় প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্তের দল মত নির্বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দেখে যে কেউ বলে দিতে পারে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রাণ গোপাল দত্তকে চান্দিনাবাসী পাওয়া, এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত ১ অক্টোবর ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনে ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্তের পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁর চাচা গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত।
তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। যুদ্ধকালীন ২ নং সেক্টরে মুজিব বাহিনীর অন্যতম প্রধান, ইষ্টার্ন কমান্ডের মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির বিশ্বস্ত একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন ও যুদ্ধকালীণ ছাত্রবিষয়ক লিয়াঁজো অফিসার ছিলেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্র-রাজনীতির প্রাণ পুরুষ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় অত্র কলেজ শাখার কার্যকরি সদস্য হিসাবে ১৯৬৮-১৯৭০ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে ১৯৭২-৭৩,১৯৭৩-৭৫,১৯৭৫-৭৬ ইং। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন।
চান্দিনা শিক্ষা বিস্তারে ও সমাজ সেবায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন প্রত্যক্ষভাবে মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক সভাপতি ভোমরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ও শতবর্ষী বিদ্যাপিঠ চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। সারা চান্দিনায় প্রত্যক্ষভাবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়ন করেছেন যা এখনো চলমান।
এদেশের চিকিৎসা সেবায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে তাকে “চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়। ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত সর্বশেষ ২০২১ সালে চিকিৎসা ও সমাজ সেবা স্বর্ণপদক পান।
লেখক হিসাবে প্রফেসর দত্তের রয়েছে বেশ পরিচিতি। তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ম্যাগাজিন, সাময়িকতে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন দেশ রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে। এছাড়াও তিনি বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থের প্রণেতা।
পরিশেষ, চান্দিনাসহ দেশবাসী প্রফেসর ডক্টর প্রাণ গোপাল দত্ত কে চিকিৎসক পরিচয়ের পাশাপাশি সাংসদ পরিচয়ও দেখতে চায়।