কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার চাচার কাছে ভাতিজি ধর্ষণ। মেয়ের বাবা আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পরদিনই (১৫ জুন) ভাতিজিকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক চাচাকে গ্রেফতার করে। তবে সে চাচা বেশিদিন শাস্তি ভোগ করে নাই। শাস্তির এক মাস পার হতেই ধর্ষণকারী চাচা জামিন পেয়ে যায়। জামিনের পর ১৭ জুলাই গলায় ফুলের মালা ঝুলিয়ে আনন্দ মিছিল কর ধর্ষক।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বর্ণনা করে জানান যে, গত বছরের নভেম্বর মাসে মেয়ের মা ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার একটা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে ৫ থেকে ৬ দিন অবস্থান করেন। সে সুযোগটা ব্যবহার করে চাচা আপন ভাতিজিকে টানা ৪-৫ দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এবং চাচা ভাতিজিকে বিষয়টি প্রকাশ না করার হুমকি দেন। এ দিকে কিছুদিনেই মেয়েটির মা মারা যায় অন্যদিকে মেয়েটি যখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে এলাকায়। এতে এলাকার এক সালিশে মেয়েটি তার চাচাকে দায় করেন।
পরে গত জুন মাসে অপারেশনের মাধ্যমে মেয়েটির বাচ্চা প্রসব করে এবং থানার ওসির মাধ্যমে বাচ্চাটিকে দত্তক দেয়া হয়। এবং পরে ১৪ জুন মেয়েটির বাবা আপন ভাইকে দায় করে থানায় মামলা করেন এবং মামলার পরের দিনই আসামি গ্রেফতার হয়। তবে গ্রেফতার এর সময় বেশিদিন হয় নাই। মাত্র এক মাস পার হতেই আসামি জামিন পেয়ে ১৭ জুন আনন্দ মিছিল করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হন।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী থেকে জানা যায় ডিএনএ রিপোর্ট এর পরে পরবর্তী কার্যক্রম করা হবে।