নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে চাঙ্গিনী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নগরের চাঙ্গিনী এলাকার আক্তার হোসেন ও কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আক্তারদের ঘরের পাশের একটি জায়গা নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব রয়েছে। এছাড়া নিহতের ছোট ভাইয়ের সাথে কাউন্সিলর আলমগীরের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে।
শুক্রবার সকালে নিহত আক্তার ও কাউন্সিলরের এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে কাউন্সিলর আলমগীর, তার পাঁচ ভাই, ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যরা মসজিদের কাছে নামাজের আগে লোহার রড, পাইপ ও চাপাতি মজুদ করে। চাঙ্গিনী মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা বের হওয়ার সময় কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই ও ভাতিজারা মসজিদ থেকে আক্তারকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনেন। এরপর কয়েক শত মানুষের সামনে আক্তারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এসময় আক্তারকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলায় আহত হন শাহ জালাল আলাল, মো. হোসাইন, রেজাউল করিম, মো. সোহাগ, মনির হোসেন ও মো. শাকিল।
কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আক্তার হোসেন।
নিহতের ভাই যুবলীগ নেতা আলাল জানান, ‘শুক্রবার বিকালে জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এলাকায় ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় কাউন্সিলর আলমগীরকে নিমন্ত্রণ না করায় সে ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে সকাল থেকেই তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘুড়ি উৎসবে আমন্ত্রণ না পেয়ে এবং পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কাউন্সিলর আলমগীর ও তার ভাইয়েরা আক্তারের ওপর হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। নামাজ শেষ হওয়ার পর কাউন্সিলরের পরিবার এই হামলা করে। এ ঘটনায় তার তিন ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’