আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে রবিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। অন্য কোনো উপসর্গ আছে কি না শিক্ষকরা সেটি দেখবেন।’
মাস্ক বাধ্যতামূলক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া কেউ ক্লাসে ঢুকবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তবে শিশুশিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকবে, ‘খুব ছোট শিক্ষার্থীর মাস্কে সমস্যা হলে শিক্ষক সেটি খেয়াল করবেন। মাস্ক পরার কারণে তার সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান শুরুতে সবাইকে প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে না, ‘প্রথম যখন ক্লাস শুরু হবে তখন শুধুমাত্র এ বছর যারা এসএসসি এবং এইচএসসি দেবেন এবং যারা আগামী বছর দেবেন তারা ক্লাসে আসবেন।’
প্রাইমারিতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অবশ্য প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি-এইচএসসি যারা দেবেন তাদের কয়েক সপ্তাহ পর হয়তো ক্লাস করাতে হবে না। কারণ অনলাইনে তাদের সিলেবাস অনেকটাই কাভার হয়ে গেছে। তখন অন্যরা নিয়মিত ক্লাস করবে।’
‘আমরা সবাই মিলে খেয়াল রাখব, কোথায় কী হচ্ছে, সেটা দেখব-যদি দেখি সমস্যা হচ্ছে না, তাহলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ক্লাস (প্রতিদিন) শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘১২ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৮ ঘণ্টা ক্লাস হবে না। প্রথমে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা করে ক্লাস হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সিন্ডিকেটের সঙ্গে আবার একটা বৈঠক হবে। তখন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও কিছু নির্দেশনা:
-নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় সংক্রমণ দেখা দিলে সেটি বন্ধ করে দেয়া হবে।
-ক্লাসের ভেতরে প্রবেশ এবং বের হওয়ার সময় সারি বেঁধে থাকতে হবে। জটলা করা যাবে না।
-শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। কারো কোনো উপসর্গ থাকলে বিদ্যালয়ে আসা যাবে না।
-সকালে যে অ্যাসেম্বলি বা সমাবেশ হয়, সেটি হবে না।
-তবে শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো রাখতে নির্দেশনা অনুযায়ী খেলাধুলা চলবে।