বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক স্কুল “টেন মিনিট স্কুলে এর প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক এক ভিডিও বার্তায় বলেন যে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অনলাইন বার্তায়। টেন মিনিট স্কুল এমন একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে বিনামূল্যে অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং সহযোগীতা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী শ্রোতাদের জন্য প্রায় দুই সহস্রাধিক ভিডিও তৈরী করেছেন । যে ভিডিও গুলো মূলত ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের ভিবিন্ন বিষয় নিয়ে তৈরি।
আর এ টেন মিনিট স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে। আমি কখনো স্বপ্নেও কল্পনা করিনাই যে আমাকে এ ভিডিও টা তৈরি করতে হবে, এবং আমাকে আমার নিজের ধর্মেরও হিসাব দিতে হবে। কিন্তু আমার মা যখন আমাকে নিয়ে এসে দেখায়, ইউটিউবে দেখছে যে তার ছেলেকে খুন করে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে। তখন আপনার কেমন লাগবে আমি জানি না। আমার বাসায় এমন একটা পরিস্থিতি হচ্ছে আমি কিছুক্ষণ পর পর গিয়ে আমার বাবা মাকে দেখি যে তার কি দেখছে, আর আমার বাবা মা বারবার চেক করে দেখছে যে আমি আদৌ ঠিক ঠাক আছি কি না। কেন? কারণ ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার সব জায়গায় আমাকে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে। টেন মিনিট স্কুলের অনেক মানুষকে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে। টেন মিনিট স্কুল কে বয়কট করার জন্য বলা হচ্ছে । এবং শুধুমাত্র ইন্ডাইরেক্টলি না ডাইরেক্টলি বলা হচ্ছে যে, এ ব্যাক্তি কে যেখানে পাবেন সাথে সাথে তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিন। এবং শত-শত না, হাজার হাজার মানুষ সেটা শেয়ার করছে। কেন তার কারণ হলো আমি নাকি আমার ধর্মের হিসাব দিতে হবে। আর ধর্মের হিসাব নাকি আমি পাবলিকলি সবার কাছে দিতে হবে। কেন? কারণ ভিন দেশে থাকা ভিন বিশ্বাসের এক সাবেক কর্মী সমকামী নিয়ে একটা পোস্ট করেছিল। তার জন্য আমাকে মেরে ফেলতে হবে এবং টেন মিনিট স্কুলকে বয়কট করতে হবে।”
আয়মান সাদিক আরো বলেন যে তাকে নাকি তার ধর্মীয় হিসাব দিতে হবে এবং তাকে মেরে ফেলা হবে। তার কারণ হলো আয়মান সাদিক এর সাবেক এক সহযোগী ভিন দেশে থাকা ভিন্ন বিশ্বাসের ব্যাক্তি সমকামী নিয়ে স্টাটাস দেওয়ায় আয়মান সাদিককে মেরে ফেলতে হবে।
এদিকে তিনি উক্ত ভিডিও টা আপলোড এ কথা বলে, “দয়া করে আমাকে বাঁচতে দিন”।