নানান প্রতিকূলতা অতিক্রম করে মৌসুমের শুরুতেই শীতকালীন সবজি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন এখানকার কৃষকরা। এসব সবজি বাজারে ওঠার পর সবজির দাম অনেক কমবে বলে মনে করছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা।
বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক বলেন, দুইবার লাউ চাষ করে মার খেয়েছি এখন আবার ১৮ শতক উঁচু জমিতে মুলা চাষ করেছি। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই মুলা বিক্রি করতে পারব,জলার জমিতে ধনুয়া পাতার চাষ করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের এলাকার অনেকেই লাল শাক,মুলা শাক,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,ধনুয়া পাতা,বেগুন,পালং শাক বাজারে বিক্রি করতেও শুরু করেছে, যারা আগাম ফুলকপি লাগিয়েছে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি বাজারে বিক্রি হবে তাছাড়া আলু চাষও শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই বাজারে নতুন আলু চলে আসবে।
একই এলাকার চাষি আব্দুল মান্নান বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এবার শীতকালীন আগাম সবজি চাষে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে উঁচু জমিতে লাল শাক ও মুলা চাষ, পালং শাক করেছি এবং বিক্রি করা শুরু করেছি।
এবার অতিবৃষ্টি ও দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতার কারণে বরুড়ায় সবজি চাষে একটি দেরি হয়েছে। পানির কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সবজির গাছ ও চারা। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার উঁচু জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষক-কৃষাণীরা জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, ক্ষেতে পানি ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাণিজ্যিকভাবেও চাষ হচ্ছে এসব সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি বিভিন্ন জাতের সবজির গাছ। এসবের মধ্যে শোভা পাচ্ছে লালশাক, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপির চারা, লাউ, মুলা, পালং শাকসহ হরেক রকমের শীতকালীন সবজি।