রামমোহন বাজারের চা দোকানদার মো. রমিজ উদ্দন বলেন, সন্ধ্যা ৭টার সময় আমার ছেলে খোরশেদ আমার মেয়ের জামাই সুয়াগাজির সাদ্দাম হোসেন এর সাথে পারিবারিক কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায় আমার ছেলে খোরশেদ একটু খারাপ ব্যবহার করে তার দুলাভাই সাদ্দামের সাথে। আমার দোকানের কয়েকজন মিলে খোরশেদ কে বুঝানোর চেষ্টা করতেছি এরি মধ্যে অতিউৎসাহী হয়ে গোপালনগর গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে হারুন এসে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে, খোরশেদের বন্ধু গোপালনগর গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম এসে হারুন কে ধাক্কা দিয়ে বলল আপনি খোরশেদ কে মারছেন কেন? তখনি হারুন আর সাদ্দাম তর্কাতর্কির এক পর্যায়, হারুন সাদ্দাম কে থাপ্পড় দিলে, সাদ্দাম ও হারুন কে একটা গুসি দেয় তখন আমরা কয়েকজন তাদের উভয় পক্ষকে বলি তোমরা তোমাদের কাজ কর্মে যাও পরে আমরা বিচার করে দেব। তারপর কয়েক মিনিট পরেই আবার হারুন দৌড়ে এসে আমার চা দোকানের চায়ের গরম পানি সাদ্দামের উপর ছুড়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে সাদ্দাম কে সি এন জি করে হাসপাতালে নিয়ে যায় সাদ্দামের ভাই সুমন রানা। হারুনের ভাই শহিদ এর ছেলে মুহাম্মদ এসে ঝগড়া লেগে যায় নূরে আলমের সাথে। নূরে আলমের সাথে ধাক্কাধাক্কা লাগার এক পর্যায় হারুন এর বড় ভাই শহিদ তার মুদি দোকানে গিয়ে দ্রুত সার্টার পেলার সময় শহিদ এর ছেলে মোহাম্মদ এর মাথায় জখম হয়ে যায়।
হারুনের ভাই শহিদ মিয়া খোশবাস বার্তাকে বলেন, আমি তাদের সাথে কোন ঝগড়া করিনি ঝগড়া করলে আমার ছোট ভাই হারুন করেছে। আমি সাদ্দামের বাবাকে বললাম আপনারা আগে সাদ্দাম কে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন,পরে আমরা বিচার করে দেব। আমার এই কথা না শুনে সাদ্দামের পরিবারের লোকেরা আমার মুদি দোকানে হামলা করে আমার দোকানের নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় এবং আমার ছেলে মুহাম্মদ কে মেরে মাথা পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি বরুড়া থানায় গিয়ে আমার দোকান লুটপাট সহ আমার ছেলেকে মারধর করায় মামলা করেছি।
অপরদিকে, রামমোহন বার্তা নামক ব্যক্তিগত এক পেইজবুক পেইজে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাদ্দামের ভাই সুমন রানা লাইভে এসে কান্নাকাটি করায় বিষয়টি অনেকের মাঝে একটা আবেগপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
সুমন রানা ফোনকলে খোশবাস বার্তাকে জানান, আমার ভাইকে হারুন সহ তার গুন্ডাপান্ডারা মেরে গরম পানি ছুড়ে পেলে গুরুতর আহত করে এখন তারাই আবার থানায় এসে আমাদের নামে দোকান লুটপাট এর অভিযোগ করে মামলা করে গেছে। আমি বরুড়া থানায় আমার ভাইকে গুরুতর আহত করায় আমি মামলা করেছি।বাকিটা পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গোপালনগর ওয়ার্ড এর মেম্বার মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না পরে এসে আমি তাদের পরিবারের লোকদের কাছে ঘটনা কি ঘটেছে শুনে তাদের কে পরামর্শ দিয়েছি আপনার মামলা হামলার মধ্যে যাবেন না কোন পরিবার, আগে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা হোক তারপর আমরা স্থানীয়রা চেয়ারম্যান কে নিয়ে বসে একটা শক্ত বিচার করে দেব।কিন্তু উভয় পরিবার আমার কথা না শুনেই তারা মামলা করেছে বলে আমি খবর পেয়েছি।
খোশবাস উওর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান বলেন, আমি ওয়ার্ড মেম্বার কে দায়িত্ব দিয়েছি ঘটনা সত্যতা জেনে বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য আমি থাকব এই বিচারে এবং সুন্দর একটা সমাধান করে দেব।
গোপালনগর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ উল্লাহ সরকার খোশবাস বার্তাকে বলেন, আমি অসুস্থ সকল কে হাসপাতালে দেখে এসেছি তাদের অবস্থা বর্তমানে ভালোর দিকে আছে কারো অবস্থা এত সিরিয়াস না তবে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার জন্য আহবান করছি। আমরা একটা সুষ্ঠু সুন্দর বিচার করে দেব যেন কখনো এই ধরনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার দিকে না যায় সমাজ ব্যবস্থা।