এই সময় উপস্থিত ছিলেন, খোশবাস বার্তা’র সম্পাদক ইউনুছ খান, দক্ষিণ হোসেন পুর গ্রামের মোঃ সেলিম জাফর, খোরশেদ আলম, ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, খোশবাস বার্তা’র নির্বাহী সম্পাদক আসিফ ইকবাল সৈকত সহ অসুস্থ দুলাল হোসেন এর স্ত্রী রুনা আক্তার।
গত ১৯ ডিসেম্বর দুলাল হোসেন এর অসুস্থতার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় খোশবাস বার্তা ফেইসবুক পেইজে। নিউজটি মুহূর্তের মধ্যেই দেশ বিদেশে ভাইরাল হয়ে যায়। খোশবাস বার্তা’র প্রতিবেদনের আলোকে প্রবাসী ও দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন দুলালের পাশে সহমর্মিতা ও ভালোবাসা নিয়ে।
সকলের একান্ত সহযোগিতা ও খোশবার্তার নৈতিক আন্তরিক প্রচেষ্টায় দুলাল হোসেন চিকিৎসা বাবদ ৭৪ হাজার নগদ অর্থ পেয়েছেন।
দুলাল হোসেন এর স্ত্রী আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে দেশী ও প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, খোশবাস বার্তা সব সময় মানুষের দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়ায় এই খবর পেয়ে আমি সম্পাদক ইউনুছ খানের নিকট দেখা করি। তিনি আন্তরিক ভাবে অনেক পরিশ্রম করে আমার স্বামীর জন্য যেই ত্যাগ করেছেন তা আমরা আজীবন তার নিকট ঋনী হয়ে থাকব।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর খোশবাস বার্তায় প্রকাশিত নিউজটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
বরুড়া উপজেলাধীন খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ হোসেন পুর গ্রামের মৃত চারু মিয়ার সন্তান রিকশার ড্রাইভার দুলাল হোসেন আর্থিক অভাবের কারণে চিকিৎসাহীন ভাবে মৃত্যু পথ চেয়ে অপেক্ষায় আছেন?
৪০ বছরের বয়স্ক দুলাল এখন আপনার দেখে মনে হবে যেন তার বয়েস ৬০ কিংবা ৭০ বছর। রিকশা চালিয়ে তার পরিবারের ভরণপোষণ এর দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন দরিদ্র দুলাল। বাবার রেখে যাওয়া কোন জমিজমা নগদ টাকা ছিল না দুলালের বাবার। একমাত্র আয়ের পথ ছিল নিজের দুই পায়ে চেপে রিকশা চালানো।
গত চার মাস পূর্বে আকষ্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার হাত পা অবস হয়ে যায়। পরিবারের শেষ সম্বল দিয়ে দুলালের চিকিৎসা চালানো হয় কিন্তু সাগরের মাঝে সুই পড়লে আর কতটুকুই বা খোঁজা যায় এমন অবস্থা হয়েছে তার পরিবারের।
আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারে তার স্ত্রী দুই ছেলে এক মেয়ের মুখে কোন কোন দিন খাবারই জুটেনা সেখানে দুলালের চিকিৎসা চালানো তো দূরের কথা!
ছোট্ট একজন ছেলে স্কুলে যাওয়ার বয়স আর মেঝো ছেলেটির বয়স ১৫ বছর বড় মেয়েটি বিয়ের উপযুক্ত। মেঝো ছেলেটির আবার এক হাত ভাঙ্গা। এমত অবস্থায় দুলালের স্ত্রী রুনা আক্তার দিশেহারা হয়ে গেছেন। স্বামীর চিকিৎসা খরচ ছেলে মেয়েদের মুখে আহারের ব্যবস্থা করাই যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা!
রুনা আক্তারের অশ্রুসিক্ত চোখের পানে চেয়ে থাকে তার অবুঝ ছেলে মেয়েরা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অর্থের জন্য স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না, পারছেনা তিন বেলা খাবার দিতে সন্তানদের মুখে।
আমরা কি পারিনা? এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ভরশা দিতে? দুলালের ভালো চিকিৎসা হলে হয়ত আবার সে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ইনকাম করে একটা পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারবে।