রাজু হত্যার প্রতিবাদে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে খোশবাস ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হৃদয় আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন,রাজপথে রাজু ভাই আমাদের সাথে সহকর্মী হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।তাকে বিনা কারণে দুষ্কৃতকারী অলিতলা গ্রামের সোয়েব এর পরিকল্পনায় গুফরান,মিজান, জলিল, রুবেল সহ অজ্ঞাতরা খুন করে পুরো ছাত্র সমাজকে খুন করেছে।অনতিবিলম্বে খুনিদের কে গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
খোশবাস ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রিয়াদ হাসান বলেন, আমরা আগে প্রশাসন কে ৭২ঘন্টা সময় দিয়েছি প্রশাসন সকল আসামীদের কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আবারো ২৪ ঘন্টা সময় দিচ্ছি দ্রুত রাজুর খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে তাদের ফাঁসির কার্যকর করুণ অন্যতায় আমরা থানা ঘেরাও করে রাজু হত্যার বিচার চাইব।
এই সময় আরো বক্তব্য রাখেন, খোশবাস ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিয়াদ হাসান, খোশবাস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী বিল্লাল হোসেন, খোশবাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার, চান্দিনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সুমন।
খোশবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার বলেন, রাজু হত্যার খুনিদের বিচারের দাবীতে ছাত্রলীগের কর্মীরা যেই মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন আমি তাদের কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যারা রাজু হত্যার সাথে জড়িত প্রশাসনকে আমি আহবান করছি অবিলম্বে খুনিদের কে গ্রেফতার করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করুণ।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছেন মেহেদী হাসান রাজুর বড় বোন লাকি আক্তার।লাকি আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,আমি আর কাকে ভাই বলে ডাকব,কে আমাকে আপু বলে ডাকবে।আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল ভাইয়ের কাছে দুই হাত মিনতি করে বলছি আমার ভাইয়ের খুনি শোয়েব,গুফরান,জলিল,মিজান,রুবেল সহ অজ্ঞাতদের গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আমার ভাইয়ের আত্মা শান্তি করুণ।
মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০জুলাই খোশবাস ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মেহেদী হাসান রাজুকে তার বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।