নিহত মেহেদী হাসান রাজু উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের অলিতলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও একই গ্রামের মৃতঃ ইউনুছ মিয়ার নাতি।
ঘটনার সূত্র থেকে জানা যায়,বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় বাবা আব্দুল করিম ও ছেলে মেহেদী হাসান রাজু বাড়ির সামনে গেলে হঠাৎ অতর্কিতভাবে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বাবা ছেলে দুজনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে দুজনকেই চুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়িয়ে এসে দেখে দুজন আহত হয়ে পড়ে আছে।পরিবারের লোকজন স্থানীয় প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান রাজুকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় মেহেদী হাসানের পিতা আব্দুল করিম কুমেক হাসপাতালে চিকিৎধীন আছেন। লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।
এ বিষয়ে ৩নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার বলেন,অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মেহেদীকে হত্যা করেছে। আমি চাই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। তার বাবাও অনেক আহত হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আশা করি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে”।
এ বিষয়ে বরুড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিত বড়ুয়া খোশবাস বার্তাকে বলেন, আমি খবর পেয়ে এএসআই উত্তম ভৌমিককে ফোর্সসহ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত তার থেকে জানা যাবে”।
এ বিষয়ে সহকারি উপপরিদর্শক উত্তম ভৌমিক বলেন, আমি নিহতের বাড়িতে এসেছি। তবে লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে। লাশ ময়না তদন্তের পর বাড়িতে পাঠাবে। তার বাবা গুরতর আহত অবস্থায় কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন “।