ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রেমিট্যান্স যোদ্ধা নাছির মাহমুদের ফেইসবুকে আজ ১০ জুন জন্ম দিনের নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ টাইম রাত ১২.০০ টায় আর বাংলাদেশ টাইম ৩.৩০ মিনিটে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে যাত্রা করেছেন পরকালের পথে।
নাছির মাহমুদ ২০১১ সালে মহেশপুর আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন।২০১৩ সালে বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। এইচ এস সি পাশের পর অকর্মা থাকেননি ৪নং দক্ষিণ খোশবাস ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন।যখন মোস্তাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান ছিলেন। রাজনীতির পথ থেকে সরে জীবন কে আরো সুন্দর ভাবে রাঙিয়ে তোলার জন্য তার বাবা ফজলুল হকের হাত ধরে সৌদি আরবে কর্মের তাগিদে প্রবেশ করেন।প্রায় চার বছর তিনি সৌদি আরবে কাজ করেন তাঁর বাবার সাথে। একি রুমে বাবার সাথে থাকতেন। মাঝে মাঝে ফেইসবুকে লাইভে এসে তাঁর বন্ধুবান্ধব আত্মিয়স্বজন কে অনুপ্রাণিত করার জন্য গান গাইতেন। তার কন্ঠ ছিল সুমিষ্ট। যখন সে মহেশপুর আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তেন তখন বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার গুলো নাকি তার দখলে চলে যেত। মানুষের সাথে সহজে মেশার ভালোবাসার মমতার বন্ধন ছিল চোখে পড়ার মত।
পরিবারে তিন ভাই বোনের মধ্যে নাছির মাহমুদ ছিল সবার বড়।বাবা ফজলুল হক সৌদি আরবে দীর্ঘদিন আছেন সেই সুবাদের তাঁর স্নেহময় পুত্রকে সাথেই রেখে দেন।
নাছির মাহমুদের ফুফাত ভাই মোঃ আমিনুল ইসলাম খোশবাস বার্তাকে বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ সৌদি আরবে নাছির ভাইয়ের জ্বর ছিল এমনি কি তিনি যেই রুমে থাকতেন সেই রুমে তার বাবা সহ তার নিকট আত্মিয় চার-পাঁচজন থাকেন। সকলের জ্বর আছে।নাছির ভাইয়ের কোরনা টেস্ট এখনো হয়নি তবে করোনার উপসর্গ জ্বর ছিল। এখনো টেস্ট ব্যতিত বলা যাচ্ছেনা তার শরিরে করোনা ভাইরাসে আক্রমণ করেছিল কিনা!
২০২০ সালের ৫এপ্রিল ফেইসবুক লাইভে এসে নাছির মাহমুদ শিল্পী মুজিব পরদেশীর সেই বিখ্যাত গান গেয়ে সবাইকে শোনায়…
বিঁধি কলমে কি নাই কালিরে
আমার ওই পোঁড়া কপালে
এইকি লেইখা ছিলরে
কলমে কি নাই কালিরে,……
গানের কথার মতই যেন নাছির মাহমুদের খন্ডকালিন জীবন ইতি হয়ে গেল।
তাঁর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকের বার্তা বয়ে চলেছে।