এই উদ্যোগের ফলে গ্রামের স্বচ্ছল-অস্বচ্ছলের মধ্যে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়বে, গ্রামবাসীদের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন বাড়বে বলে মনে করেন কামারখোলাবাসীরা। যারা অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কামারখোলা যুব সমাজ। এই মহামারির মধ্যে প্রবাসীরা এবং গ্রামের মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে উদ্যোগটা সফল করেছে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে মাঠে থেকে সুচারুভাবে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম না করলে উদ্যোগটা সফল করা সম্ভব হত না। কৃতিত্বটা বেশিরভাগই স্বেচ্ছাসেবকদের।
সার্বক্ষণিক তদারকি করে উদ্যোগটিকে সফল করায় যে দুই জনের অবদান অনস্বীকার্য এবং যাদের নাম সর্বাগ্রে চলে আসে তারা হলেন, ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ সুমন ও ওমান প্রবাসী ওসমান গনি (সুজন) সুমন, সুজন সবসময় গ্রামে এই ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে থাকেন। তাদের সাথে সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় ও পরামর্শে যারা ছিল; ফারুক , সুজন, আরিফ, ইব্রাহীম, শামীম, প্রভাষক ওসমান, জাহাঙ্গীর কাকা, ইসমাইল, ডালিম, রাতুল, হৃদয়, শরীফ, সোহেল, সোহাগ, জয়, রকিব, আরমান, হাসান, তারেক, রাশেদ, নাজমুল, সাইফুল, আতিক, আউগাল, জোবায়েরসহ অনেকেই। যারাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে কামারখোলা যুব সমাজ।
তরুন উদ্যোক্তা ও স্বেচ্ছাসেবকদের কথা স্মরণে রাখবে গ্রামের সকলে। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ সম্মানিত মুরব্বিরা এবং মসজিদের মুসুল্লিরা প্রায় সবাই কম-বেশি ইফতার স্পটে এসেছেন, খোঁজখবর নিয়েছেন।
গ্রামের সাবেক মেম্বার মানিক সার্বক্ষণিক ছিলেন। মাঠে না থেকেও যারা উদ্যোগটা বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করে উদ্যোগের গতি আনয়ন করেছে প্রবাসী খায়ের (সবাইকে সার্বক্ষণিক উৎসার যুগিয়েছে)। ব্যস্ততার মধ্যে এমরান এবং আমেরিকা প্রবাসী দিদার খোঁজখবর নিয়েছেন, উৎসাহ যুগিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা আবু কাউসার, ব্যাংকার মনির, প্রবাসী সাইদুল, প্রবাসী ওবায়েদ উল্লাহ (গ্রুপে পোস্ট দিয়ে প্রচার করেছে), প্রবাসী রেদোয়ান ও শাহজালাল, আয়কর অফিসের মহসিন, প্রবাসী মহসিন, বাশার যোগাযোগ রেখেছে এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেরই অবদান রয়েছে।
বাবুর্চি সফিক সাহেব স্বল্প পারিশ্রমিকে অনেক চমৎকার রান্না করে সহযোগিতা করেছেন। ঈদের সময় বাড়িতে আসতে না পেরে ব্যক্তিগতভাবে তাদের সকলের খুবই খারাপ লাগছে বলে মনে করেন গ্রামবাসী। গ্রামে থাকতে পারলে হয়তো নিজ হাতে কিছু কাজ করে উদ্যোগে সামিল হতে পারতেন গ্রামের বাহিরে যারা দেশ বিদেশে অবস্থান করছেন।
কামারখোলা যুব সমাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ধরনের উদ্যোগ এবারের ন্যায় প্রতিবছর নেওয়া হবে বলে উপস্থিত উদ্যোক্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।