কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলী গ্রামের সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমান যুবদল নেতা মাদক বিক্রেতা মামুনুর রশীদ রাসেল কে মাদক দ্রব্য বিক্রয় কালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় বরুড়াধীন পৌরসভার সামনে চেকপোষ্ট ও আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব চলাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে পৌরসভাধীন বেলভুজ গ্রামের একটি বাড়ীতে সোহেলসহ কতিপয় মাদক বিক্রেতা, মাদক ক্রয় বিক্রয় করার জন্য অবস্থান করে। পুলিশ উক্ত সংবাদটি তাৎক্ষনিক ভাবে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়াকে অভহিত করে সংবাদের সত্যতা সাপেক্ষে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য এস আই মেহেদী হাসান এবং এস আই আনিছুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত বাড়িটি ঘেড়াও করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা কালে সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় মামুনুর রশিদ ওরফে রাসেল (৩৫) কে ধরতে সক্ষম হয়। বাকীরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ স্থানীয় কয়েক জন বিশিষ্ট ব্যাক্তির সামনে দ্রুত রাসেল তার প্যান্টের পকেট হতে পলিথিনে মোড়ানো ৫১ পিস ইয়াবার একটি প্যাকেট বের করে দেয়,পুলিশ তা বিধি মোতাবেক জব্দ করে, যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১৮/২০ হাজার টাকা।
পরে থানায় এনে গ্রেফতার কৃত রাসেলকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায় জনৈক সোহেল পিতা অজ্ঞাত গ্রাম বেলভুজ হতে মাদক দ্রব্য ও অন্যান্য অবৈধ দ্রব্য ক্রয় করে আমড়াতলী সহ বরুড়ার আশে পাশের গ্রামে বিক্রি করতো।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রাসেল দীর্ঘদিন যাবৎ কাতারে ইয়াবা ব্যবসা করতো এবং সেখানে ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছিল। দেশে এসে সে তার মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে জনৈক সোহেল গং দের সহযোগিতায়।
স্থানীয়দের দাবী রাসেল দীর্ঘ দিন যাবৎ বখাটেদেরকে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক অপরাধ মূলক কাজে জরিত ছিল। রাসেলকে আটকের খবরে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বস ফিরে পায়।
এ বিষয়ে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, মামুনুর রশীদ রাসেলের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করার প্রস্তূতি নেয়া হয়েছে”।