করোনাভাইরাসের প্রভাবে শ্রমিক সংকটে জমির পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। তার ওপর কালবৈশাখী ঝড় মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ ও সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সদস্যরা সোমবার (৪ মে) জেলার দুর্গম চরাঞ্চল কালাই গোবিন্ধপুর গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়ার ৪৫ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও মিডিয়া সমন্বয়কারী পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) রুপম কুমার সরকার।
কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, জমির ধান পেকে গেছে। তার ওপর ঝড়-বৃষ্টি। ধান ঘরে তুলতে না পারলে সব শ্রমই বিফলে যাবে। কিন্তু আমি ধান কাটার জন্য লোক পাচ্ছিলাম না। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা এসে আমার পাকা ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি জেলা পুলিশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।