যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের সময়টাও ভিন্ন হবে। অধিকাংশ মানুষ যখন জানে যে তাদের যথেষ্ট ঘুম হচ্ছেনা – কিন্তু সেই যথেষ্ট বলতে কতটা ?
ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে যে এ প্রশ্নের উত্তর আসলে নির্ভর করে বয়সের উপর।
রুটিন না মেনে চলা, অ্যালকোহল বা উত্তেজক কিছু সেবন, যেমন কফি বা কোন এনার্জি ড্রিঙ্ক, এলার্ম ঘড়ি বা দিনের আলো এমন সব কিছুই প্রাত্যহিক জীবন চক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
কিন্তু বয়স অনুসারে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
• নবজাত শিশু : (৩ মাস পর্যন্ত) ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে। তবে কোন ভাবেই ১৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।
• শিশু (৪ থেকে ১১ মাস) : কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা।
• শিশু (১/২ বছর বয়স): ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
• প্রাক স্কুল পর্ব (৩-৫ বছর বয়স): বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
• স্কুল পর্যায় ( ৬-১৩ বছর): এনএসএফ’র পরামর্শ ৯-১০ ঘণ্টার ঘুম।
• টিন এজ (১৪-১৭ বছর): ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।
• প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ (১৮-২৫ বছর): ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
• প্রাপ্ত বয়স্ক (২৬-৬৪ বছর): প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণদের মতোই।
• অন্য বয়স্ক ( ৬৫ বা তার বেশি বছর): ৭/৮ ঘণ্টার ঘুম আদর্শ। কিন্তু ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।
ঘুম বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে করনীয় সম্পর্কে একটা তালিকাও প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে তারা প্রথমেই ঘুমকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন।
একি সাথে তারা বলছেন নীচের টিপসগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ঘুমের জন্য।
• ঘুমের নির্ধারিত সময় মেনে চলা
• শয্যায় যাওয়ার আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করা
• নিয়মিত ব্যায়াম
• আরামদায়ক বিছানা ও বালিশ
• বেডরুমের আদর্শ তাপমাত্রা, সাউন্ড ও লাইট
• অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন না নেয়া