রোজায় দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আসায় অনেকেরই দাঁত ও মুখগহ্বরের সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে ছুটতে হয় দাঁতের চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চাইলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে হয়তো কেউ কেউ চিন্তিত। তবে কিছু পরামর্শ অনুসরণ করলে সহজেই দাঁত ও মুখগহ্বরের ছোটখাট সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
সমস্যা ১: শুষ্কতা
সমাধান
ইফতারের পর থেকে সাহ্রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত তরল পান করুন। কোমল পানীয় বা কৃত্রিম ফলের জুস পরিহার করে বিশুদ্ধ পানি, লেবুর শরবত, মৌসুমি ফলের জুস, স্যুপ, ইসুপগুলের ভুসি ইত্যাদি পান করুন। সাহ্রির শেষ সময়ের ৩০ মিনিট আগে খাবার খেয়ে তার ২০ মিনিট পর যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। যাঁদের মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়, তাঁরা সাহ্রির পর দুইটা এলাচদানা চিবিয়ে খেয়ে নিন।
সমস্যা ২: মুখে দুর্গন্ধ
রোজায় মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে অনেকেই বিব্রত থাকেন। মুখ পরিষ্কারে অবহেলা বা অলসতা, শুষ্কতা, সারা দিন না খাওয়া ইত্যাদি কারণে মুখের মধ্যেকার জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং দাতেঁর ফাঁকে আটকে থাকা খাবার পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
সমাধান
ইফতার ও সাহ্রির পর অন্তত দুই মিনিট করে নিয়ম অনুযায়ী দাতঁ ও মুখ পরিষ্কার করুন। সাহ্রির পর ডেন্টাল ফ্লস, জিহ্বা পরিষ্কার ও মাড়ি মেসেজ করা জরুরি। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ বা উষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করা যেতে পারে। কৃত্রিম দাঁতও যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
সমস্যা ৩: দাঁত ক্ষয়
এ সময় চিনির শরবত, জিলাপি, মিষ্টি ইত্যাদি বেশি খাওয়া পড়ে, যা দাতেঁর জন্য ক্ষতিকর। অন্যদিকে ভাজাপোড়া থেকে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটির ফলে পেটের অ্যাসিড মুখে এসেও দাতঁ ক্ষয় করতে পারে।
সমাধান
খাদ্যতালিকায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার থাকতে হবে। মৌসুমি ফল, দুধ, টক দই, ডিম, ছোলা, পনির, ছোট মাছ, সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজি, আদা, কালোজিরাসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর ও আশঁযুক্ত খাবার খেতে হবে। ধূমপান ও জর্দা পরিহার করতে হবে।
এরপরও মুখের কোনো সমস্যা হলে দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। করোনা সংক্রমিত রোগীদেরও দাঁতের বা মাড়ির অতি জরুরি চিকিৎসা সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা বাধ্যতামূলক।