( The Days of the Zionist conspiracy)
ইহুদী(Jews) ! হ্যাঁ,আমি সেই জাতির কথাই বলছি যারা নিজেদেরকে পরিচয় দেয় “ সেমাইট” নামে আর অন্য সকল সম্প্রদায়কে তারা বলে- “জ্যান্টাইল”( মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু….)
জেরুজালেম, স্পেন ও জার্মানিসহ অনেক দেশ থেকে বহুবার নির্বাচিত হলেও কালের আবর্তনে তারা আজ পৃথিবীর শাসনকর্তার ভূমিকায়। আর এটা সম্ভব হয়েছে তাদের ছায়া নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে উনবিংশ শতাব্দী অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ইহুদী নেতা থিওডোর হার্জেলের বিখ্যাত উক্তি আছে তাহল-
‘we are a people -one people’
অর্থাৎ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পৃথক জাতীয়তাবাদ নীতির কোন বিকল্প নাই। ( সিক্রেটস অব জায়োনিজম,P-47)।
নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে। ছদ্মবেশ ধারণ করে জ্যান্টাইল সমাজে প্রবেশ করে, স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন রাজদরবারে। গড়ে তুলেছে সিক্রেটস সোসাইটি ( গোপন সমাজ) । “জুদান” নামে গোপন রাষ্ট্র তৈরির মাধ্যমে জন্ম দিয়েছে-‘ কাহাল’ নামক সমাজ ব্যবস্থা। যার আনুগত্য করা সকল ইহুদিদের জন্য বাধ্যতামূলক। তাদের একটি গোপন পার্লামেন্টও ছিল যার নাম –“ সিনহাড্রিন“ । এর মাধ্যমেই তারা বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিং তৈরি করেছে যাকে বলা হয়- ‘জায়োনিজম বা ইহুদীবাদ` ।
আজ পৃথিবীর সকল কিছুই যেন ইহুদি লবির কাছে জিম্মি, প্রভাবিত গোটা বিশ্ব ব্যবস্থাপনা। তাদের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো বিশ্বের সমগ্র জাতিগোষ্ঠী তাদের কুর্নিশ করবে।
পৃথিবীর ভাগ্যাকাশে অমাবস্যার রাতে যে চরম ঝড় শুরু হয়েছে তার পূর্বাভাস বহু আগেই দিয়েছিলেন আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড মোটর গাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা – “হেনরি ফর্ড”। যিনি সর্বপ্রথম ইহুদিদের জায়োনিস্ট মেকানিজম এর ফাংশন পৃথিবীবাসীকে জানানোর জন্য কলম ধরেছিলেন।
১৯২২ সালে ‘The international jew’ নামক ৪ খণ্ডের বইয়ের মাধ্যমে তিনি জয়োনিস্ট ষড়যন্রের মুখোশ উন্মোচিত করায় চারিদিকে হইচই পড়ে যায় কিন্তু ততদিনে ইহুদিরা শিকড় গেড়ে নিয়েছে অনেক দূরে। পরবর্তীতে ইহুদি লবির জবাবে প্রায় কয়েকদিনের ব্যবধানে বাজার থেকে সব বই লাপাত্তা। সম্প্রতি নষ্টের উসকানির অভিযোগে ১৯২৭ সালে নিষিদ্ধ করা হয় তার পত্রিকা ও বই।যার কারণ হিসেবে লেখক দেখিয়ে ছিলেন যে সত্যই তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু।,তাই যেভাবেই হোক তা ছাপিয়ে রাখতে হবে। রাজনীতি, ধর্মনীতি, কূটনীতি শিল্প-সংস্কৃতি ও শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের আগ্রসনের চিত্র ফুটে উঠে লেখকের অদম্যসাহসী লেখনীর মাধ্যমে। ‘ ‘Protocols of the learned elders of zion’ নামক এক তথ্যের মাধ্যমে ইহুদিদের এই অদৃশ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার নানা ষড়যন্ত্রের নিয়ম কানুন প্রকাশিত হয়। এই প্রটোকল গুলোতেই প্রকাশিত হয় তাদের- “ষড়যন্ত্র তত্ব”।
#শিক্ষা ব্যবস্থা
নবম প্রটোকলে বলা আছে, “জ্যান্টইল যুব সমাজের বুদ্ধিবৃত্তি, নৈতিকতাবোধ ও স্বাধীন চিন্তাশক্তি ধ্বংস করতে এক মিথ্যা ও বানোয়াট শিক্ষাব্যবস্থা ইতিমধ্যে তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আমরা যদিও নিজেরা এই শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করব ন “।
তাছাড়া ১০ ম প্রটোকলে বলা হয়েছে, ডারউইনবাদ, মার্কসবাদ, নাৎসিবাদ ইত্যাদিতে প্রগতিশীলতার উপায় হিসেবে তাদের সামনে উপস্থাপন করছি করেছি। এসব তত্ত্বের উপর ভর করে আমরা তাদের ( ইহুদিবাদে সকল মানুষ) নৈতিকতাবোধ ধ্বংস করেছি এবং সামনের দিনগুলোতেও এর কোন ব্যতিক্রম ঘটবে না। (সিক্রেটস- 63)
যেমন রাশিয়ার জ্যান্টাইল সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে এ সম্পর্কে তারা বলে- “আমরা তাদের যৌন শিক্ষা দেব। যৌনতা সম্পর্কে তাদের সকল সংকোচ দূর করে দেব।( সিক্রেটস 91)
তবে ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত আক্রমণ আসে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় চেতনার উপর। কিভাবে একটি জাতিকে নাস্তিক জাতিতে পরিণত করা যায় সে সম্পর্কে তাদের প্রটোকলে বলা আছে যে-
“ খোদাভীতি ও সৃষ্টিকর্তা কেন্দ্রিক ধর্মীয় বিশ্বাস মুছে ফেলে নাস্তিক জাতিতে পরিণত হওয়ার দরুন নির্দিষ্ট কোন শাসন ব্যবস্থার উপর তাদের বিশ্বাস থাকবেনা ( সিক্রেটস- 249) যার পরবর্তীতে ১৪ তম প্রটোকল আছে- “বিশ্ব শাসন ক্ষমতার একক অধিপতি হওয়ার পর আমরা কেবল নিজেদের ইহুদি ধর্ম প্রচার করবো এরমধ্যে কোন ঘোড়া নাস্তিকের জন্ম হলে তবে সে আমাদের কোন হুমকির কারণ হবে না”
আজ অত্যন্ত গভীর ভাবে উপলব্ধি করার সময় এসেছে যে,আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যৌনতা ও নাস্তিকতার বিষবাষ্প কি ছড়িয়ে দেয়া হয়নি?
#বিভিন্ন মতবাদ
বর্তমান বিশ্বের নানা মতবাদ যে ইহুদীদেরই সৃষ্টি তার প্রমাণ মেলে ৯ ম প্রটোকল –
“ রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, সাম্যবাদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা প্রতিটি জ্যান্টাইল জাতিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করব( সিক্রেটস- 62)
Chicago Tribune এ ১৯২০সালে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হয় –
“কমিউনিজম ইহুদিদের নীলনকশার বাস্তবায়নের অন্যতম বড় হাতিয়ার ( সিক্রেটস-৫০) এর জোড়ালো সমর্থন রয়েছে ১৯১৯ সালের এপ্রিলে রাশিয়ার এক পত্রিকায় রাবাই (ইহুদি ধর্ম গুরু) cohan একটি কলাম লিখেছেন – “কোন রুপ অতিরঞ্জন না করে বলছি মূলত রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ইহুদিদের পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু বোকা রাশিয়ানরা এটাকে প্রলেতারিয়েট প্রতীক বলে গ্রহণ করেছে।
তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠে যারা আজ এসব মতাবাদ প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার তারা কোন ষড়যন্তের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন না তো?
# রাজনীতি
পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন মানুষরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইহুদি লবির দৌরাত্ম্য সম্পর্কে অজানা নয়। আমেরিকানদের জরিপ অনুযায়ী -কোন মার্কিন নাগরিক ইহুদিদের “স্টার অফ ডেভিড” হাউসে না গিয়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা। এছাড়া ৭ ম প্রটোকলে সকল দেশের জন্য বলা হয়েছে – “আমরা জ্যান্টাইল সরকারদের উসকে দেব যেন তারা প্রতিবাদী জনগণের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর অন্যদিকে আমাদের কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারের পক্ষে কাজ করবে এতে সরকারও সাধারণ জনগণের সম্পর্ক হবে দা- কুমড়ার ন্যায়।যা আমাদের জন্য খুবই দরকারি( সিক্রেটস- 81)।
অর্থাৎ একদিকে জনগনের মাঝে বিভিন্ন তত্ত্বের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ায় অন্যদিকে সরকারকে উত্তেজিত করে দমন- পীড়নে।
#গণমাধ্যম
লেখক হেনরি ফোর্ড বলেন- সাংবাদিকতা শিল্পে ইহুদিদের তিনটি স্তর রয়েছে। পুরো পৃথিবী আজ এই কৌশলে ছেয়ে গেছে। যেমন:
১ ম স্তর: বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান থাকবে যারা সতর্কতার সাথে কেবল আমাদের (জায়োনিস্টদের) পক্ষেই থাকবে।
২ য় স্তর: এসব হবে আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের মত। তারা আমাদের ও সাধারন জনগনের উভয়েরই পক্ষে কাজ করবে।
৩ য় স্তর: যারা স্পষ্টত আমাদেরই বিরোধিতা করবে।
কিন্তু এগুলো যে আমাদেরই প্রতিষ্ঠান তা তারা বুঝতে পারবে না। আমাদের পত্রিকাগুলো বিভিন্ন মতবাদ নিয়ে কথা বলবে। যেমন: প্রজাতন্ত্র, শাসনতন্ত্র, রাজতন্ত্র ও নৈরাজ্যবাদ। আর বোকা জ্যান্টাইলরা এসব মতবাদকে আদর্শ ভেবে বুলি আওড়াবে। ( সিক্রটস -89) প্রকাশনা শিল্পে তাদের অবস্থান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকতা মন্ত্রণালয়ে তাদের সদস্য সংখ্যা 100%। প্রকৃত পক্ষে,
কিছু বিষয় আছে যা পত্রিকা গুলো কখনোই প্রকাশ করে না। কারণ এতে তারা নিজেরাই বিপদে পড়বে। সংবাদপত্র বিক্রি করে যে টাকা আসে তাতে কেবল কাগজের মূল্যই উঠে। বাকি সকল খরচ তাদের আসে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে । এখানেই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। আর এই বিজ্ঞাপনের উৎস হল ইহুদিরা ( সিক্রেটস-85) এভাবেই তারা দখল করে নিয়েছে গোটা মিডিয়াপাড়া।
সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালে আমাদের দেশে(বাংলাদেশ) বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুলোও প্রচার করছে তাদেরই দেখানো বিভিন্ন মতবাদ। এর প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কোনরকম রাগ- ঠাক ছাড়াই কিছু মিডিয়া আজ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রোপান্ডা ছড়াচ্ছে।
প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান গুলোতে তারা নিজেদের লেখক, কলামিস্ট ও চিত্রকর নিয়োগ করে কিছুদিন পর পরিকল্পিত ভাবে নতুন সব তত্ত্ব ও মতবাদ বাজারে ছড়ায়। এতে পাঠকের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য সত্য- মিথ্যা যাচাই করার উপায় সবার থাকে না। ( সিক্রেটস- 32)
শিল্প-সংস্কৃতি
আজ শিল্প-সংস্কৃতির সিংহ ভাগ অংশই ইহুদিদের দখল, যেখানে তারা অত্যন্ত সুকৌশলে অশ্লীলতার বীজ বুনে দিয়েছ। চলচিত্র শিল্পকে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন অশ্লীল ও নোংরা কনটেন্ট দিয়ে। তাই লেখক উল্লেখ করেন পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি করতে নোংরা কাজ করতেও প্রস্তুত তারা। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অশালীন ভঙ্গিমায় নারী মডেলদের উপস্থাপন করে।তাছাড়া শারীরিক সৌন্দর্যকে পণ্য বানিয়ে বিলবোর্ড, পোস্টার, ফ্লাইয়ার, ব্রসিউর, ম্যাগাজিন ইত্যাদি ছাপাচ্ছ। ( সিক্রেটস-159)
তাদের নিয়ন্ত্রিত সেন্সর বোর্ড এমন সব নাটক-সিনেমা অনুমোদন দেয় যা যুবসমাজের নৈতিক অক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি সুকৌশলে খ্রিষ্টান নারী সমাজের পর্দা প্রথা উঠিয়ে দেয়( সিক্রেটস -29) । এরূপ অশ্লীল সিনেমা ও গানে (জ্যাজ সংগীত) এর মাধ্যমে আমাদের নৈতিকতা ধ্বংসের মাধ্যমে জ্যান্টাইলিদের পারিবারিক বন্ধণ ধ্বংস করার ভয়ংকর খেলায় মেতে এরা। ( সিক্রেটস- ১০০)
তারচেয়েও বড় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে নারী অধিকারের নামে আমাদের বোনদেরকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। গার্মেন্টস খাতের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছেনারী যাদের বিশাল একটি অংশ এখন আর পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় না। এসব বিষ- বাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে তথাকথিত শিক্ষিত নারী সমাজেও। এভাবেই আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মূল চাবিকাঠি পরিবার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সুকৌশলে মদ্যপানে আসক্ত করে ধীরে ধীরে জ্ঞান শূণ্য জাতিতে পরিণত করার নীলনকশা করা হচ্ছে।
সত্যিকার অর্থেই কোন জাতি কি এ ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের বাহিরে আছে?
#ব্যাংকিং খাত
পুঁজিবাদ ও আধুনিক ব্যাংকিং শিল্পের জন্মদাতা হলো ইহুদিরা। সুদভিত্তিক অর্থ-বাণিজ্য কে কাজে লাগিয়ে তারা কৌশলে কেড়ে নিয়েছে জ্যান্টাইল সমাজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। আজকের আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক এর কান্ডারী হলো জার্মান ইহুদী পরিবার- রথচাইল্ড। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধনী ব্যাংকারদের বেশির ভাগই হল – ইহুদী। ওয়ালস্ট্রিট সহ পৃথিবীর সব বড় বড় শেয়ার বাজার এখন তাদের হাতে জিম্মি। তারা চাইলেই অর্থ বাজারে ধ্বস নামাতে পারে।
লেখক হেনরিফোর্ড তার বইয়ে আরো উল্লেখ করেন যে, ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম তথা বিশ্ব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা(ইহুদিরা) সব সম্পদ চুষে নিচ্ছে । মানুষ যদি জানতো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিভাবে কাজ করে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের নামে তারা কি করে তাহলে আগামীকাল সকালেই মহাসড়কে গণজোয়ার বয়ে যেত। এগুলো করা সম্ভব হয়েছে তাদের ছদ্মনাম সংস্কৃতিরর কারণেতাদের এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা বিশ্ববাণিজ্য।
এভাবেই তাদের হাজারো সিন্ডিকেটের বেড়াজালে আটকে আছে গোটা জ্যান্টাইল সমাজ। তাদের ষড়যন্ত্রের এই নেটওয়ার্ক এর বেড়াজালে আছে সরকারব্যবস্থা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ। নানা ধরনের গুপ্ত সংস্থা তৈরি করে মানুষের সকল তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। পৃথিবীর বহু শক্তিশালী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বাহিনীতে নিজেদের এজেন্ট বানিয়ে জেনে নিচ্ছে সকল গোপন পরিকল্পনা।
ইহুদি পরিচালিত কিছু গুপ্ত সংস্থা : ১) ট্যসম্পেলার্স
২)ফ্রি ম্যাসনারি
৩)ইলুমিনাতি
তবে কিছু প্রকাশ্য সংস্থাও রয়েছে : ১) বিনি বার্থ সোসাইটি
২)লায়ন্স ক্লাব
৩)রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ( বুদ্ধ বৃত্তিক ক্রুসেড, পৃ-১২৫,১২৬)
#মোসাদ :
তাছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ও খুব ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের কথা কোন সচেতন মহলেরই অজানা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন গুপ্তহত্যা চালিয়ে আসছে অত্যন্ত কৌশলে। এ সম্পর্কে দৈনিক প্রথমআলোপত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উল্লেখ করা যায়:
(“ ইসরায়েলের ইয়েদিওত আহারনত পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স করেসপনডেন্ট রনেন বার্গম্যান তাঁর ‘রাইজ অ্যান্ড কিল ফার্স্ট: দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অব ইসরায়েলস টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশনস’ বইয়ে ইসরায়েলের গত ৭০ বছরে অবৈধ দখলদারত্ব টিকিয়ে রাখার পথে যেসব গুপ্ত ও টার্গেট কিলিং সম্পন্ন করেছে, তার বিবরণ দিয়েছেন। এই বইয়ে বার্গম্যান জানান, প্রতিষ্ঠার পর ২ হাজার ৭০০ জনকে ইসরায়েল রাষ্ট্র হত্যা করেছে। তাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন ফিলিস্তিনের ইন্তিফাদা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। এর মধ্যে পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাতও রয়েছেন। তাঁকে বিষাক্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয় বলে বার্গম্যান উল্লেখ করেছেন। এই বই লেখার জন্য বার্গম্যান ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, শিন বেত ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার এক হাজারের বেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বই প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধার মুখেও পড়েছেন। তাঁকে বলা হয়েছিল, এই ধরনের গবেষণা ইসরায়েলের নিরাপত্তার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে বার্গম্যান থেমে যাননি। তিনি বইটি প্রকাশ করেছেন এবং ইসরায়েলের টার্গেট কিলিংয়ের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন।বার্গম্যানের বই সেই রক্তঝরার ইতিহাসকেই সামনে তুলে এনেছে। ইসরায়েলের এই গুপ্তহত্যা ও টার্গেট কিলিংয়ের কথা বিভিন্নভাবেই বলা হচ্ছিল।
ড. মারুফ মল্লিক: রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর কনটেমপোরারি কনসার্নস, জার্মানি)
#ইহুদিদের বর্তমান ষড়যন্ত্র :
সম্প্রতি ইরানের প্রধান পরমাণু বিজ্ঞানি ফাখরিজাদকে হত্যা সহ আরো চার-পাঁচজন বিজ্ঞানিকে হত্যার কথা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয় দখলদার এই ইহুদিরা বছের পর বছর আগ্রাসন চালাচ্ছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে। কেঁড়ে নিয়েছে হাজারো ভাই-বোনের প্রাণ। অসহায় শিশু-নারীর আর্তনাতে ভারী হচ্ছে আকাশ-বাতাস। বোমার আঘাতে কেপে উঠছে একের পর এক শহর! ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে প্রতিটি বাড়িঘর।
ইহুদি এই ষড়যন্ত্রের বাতিঘর থিওডোর হার্জেল এর বেলফোর ঘোষণার ফলে ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রই হল মুসলিমদের প্রতি ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। তাদের প্রতিদিনের কর্মপরিকল্পনায় হল ইসলাম ও মুসলিম নিধনের হোলি খেলা। যার প্রমাণ পাওয়া যায় পবিত্র কোরআনে –
“ ইহুদীরাই তোমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু”। (সূরা মায়েদা, 86)
আর এ কাজে ব্যবহার করছে বোকা খ্রিস্টান জ্যান্টাইল সমাজকে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যই হল গোটা পৃথিবীতে রাজত্ব কায়েম করা। যার উল্লেখ আছে “protocols of the learn ed elders of zion ‘’ নামক প্রকাশিত বইয়ের 24 তম প্রটোকলে। তাদের এই নীলনকশার বাস্তবায়ন সুদূর আমেরিকা, ইউরোপ ও রাশিয়া থেকে শুরু করে আমাদের দেশেও এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কিভাবে এটা করা তাদের দ্বারা সম্ভব হল?
এর উত্তর তাদের ১ ম প্রটোকলেই বলা আছে যে,
“আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের পথ ইতিমধ্যেই অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর লোভ লালসা দেখিয়ে আমরা তাদের( জ্যান্টাইলদের) বশীভূত করতে সক্ষম হয়েছি। চারিত্রিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের মধ্যে বিভেধ ও পার্থক্যের দেয়াল ঘরে তুলেছি।( সিক্রেটস অব জায়োনিজম- 58)
ষড়যন্তের এই ভয়ঙ্কর তান্ডব লীলায় পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই হচ্ছে পর্যুদস্ত।?
# এখন এর থেকে বাচাঁর উপায় কি?
তাদের এই চক্রান্ত থেকে বাঁচার উপায় একটাই তাহল –“”হৃদয়ের চোখ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আত্ম উপলব্ধি করতে হবে।আর মনে- প্রাণে মেনে নিতে হবে আমাদের মহান নেতা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর সেই অমিয় বাণী –
“যতোদিন তোমরা আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে থাকবে ততোদিন তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না’ “