মঙ্গলবার (২১ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জনপ্রশাসন সচিবের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক অবসরে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাকে আবার দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট অধ্যাপক আজাদকে ডিজি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ পদে যোগ দেন তিনি। গত বছরের ১৪ এপ্রিল তার চাকরি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই চুক্তিতে নিয়োগ পান তিনি।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হলে চিকিৎসা কার্যক্রমসহ নানা বিষয় নিয়ে সমালোচিত হন ডিজি আবুল কালাম আজাদ। এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সমালোচিত হন ডিজি।
বিতর্কিত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করেছিল, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ মহলের নির্দেশে’ই চুক্তিটি হয়েছে। এ দাবির পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডা. আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি পদত্যাগ করলেন।