বুধবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে ঈদুল আযহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সভার শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। মিটিং করে সেই আলোকেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ঈদের পাঁচ দিন আগে ও তিন দিন পর গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে সরকারের নির্দেশনা পেয়েছেন জানালেও সভা শেষে বললেন ভিন্ন কথা। ঈদুল আজহার আগে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ঈদে বাড়ি যেতে চায় তাদের ঈদের পাঁচ দিন আগেই যেতে হবে। যারা আসতে চায় তাদের তিন দিন পরেই আসতে হবে।’
বৈঠক শেষে আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ‘আজ বৈঠকের আগেও আমরা বলেছিলাম ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সেটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে পণ্যবাহী যেকোনো পরিবহন বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তার কথা হয়েছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে তিন দিন পণ্যবাহী যেকোনো ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহন, গণপরিবহনের একটা অংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ বা ফেরি চালু থাকবে।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ অগাস্ট কুরবানির ঈদ হবে। ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ অগাস্ট ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে।