দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে জনগন, রাষ্ট্রের সরকারের দ্বায়িত্ব হচ্ছে জনগনের নিরাপত্তা দান করা। নানান পেশার অভিজ্ঞ ব্যাক্তিগনের মেধা ও শ্রম দ্বারা দেশের শিল্প ও অর্থনীতি চলমান সেই ব্যাক্তিগনকেই রাষ্ট্রের নীতি দ্বারা মানসিকভাবে তাদেরকে বাধা দান করা হচ্ছে।
আমাদের দেশের সরকার জনগনের সেবা ও দেশ পরিচালনার জন্য তার নিয়ন্ত্রণে অনেক মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর দ্বারা কাজ পরিচালনা করছে। জনগন ও রাষ্ট্রের রাজস্বে তাই তাদের অবশ্যই জনগনের নিকট দায়বদ্ধতা রয়েছে।
বর্তমানে চেকপোস্টের নামে পুলিশি হয়রানি দেখলে মনে হয় না যে এটা কোন স্বাধীন দেশ, কোন ধরনের তথ্য বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই চোখের আন্তাজে নানা শ্রেণির মানুষদের হয়রানি ও সময় নস্ট করা হচ্ছে, যাতে সেই ব্যাক্তিগনের স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত ও দেশের অর্থনীতি অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ এর কন্সটেবল থেকে এএসআই – বেশীর ভাগেরই আচার-ব্যাবহার ও সাধারণ জ্ঞান দ্বারা তারা প্রমাণ করায় যে তাদের সুশিক্ষা, নূন্যতম জ্ঞান, ও প্রশিক্ষণ এর যথেষ্ট অভাব আছে।
তারা যাকে খুশি তাকেই কোন তথ্য বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চেকিং এর নামে হয়রানি করে সময় নস্ট করে, ইয়াবা দিয়ে বা যে কোন মাদক দ্রব্য দ্বারা ফাসানোর আতংক সৃষ্টি করে।
এভাবে চলতে থাকলে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে এতটুকুই যথেষ্ট। একটা স্বাধীন দেশে মানুষদেরকে বা যাকে তাকে চেকিং এর নামে বিব্রত করা হয়, সময় নস্ট করা হয়, কোন ধরনের তথ্য বা যাচাই ছাড়া ঢালাও ভাবে সবাই কে হয়রানি করবে কেন?
সরকারের নীতি বদল করা হউক সাধারণ জনগনকে স্বাভাবিক ভাবে হয়রানি মুক্ত জীবন নিশ্চিত করা হউক!
আর মাদক কারবারি দের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে “গোয়ান্দা নজরদারি বাড়ানো উচিত”।
আজকে এরকম চেকপোস্ট নামক প্রহসন দ্বারা একজন অধঃস্তন অসভ্য বাজে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশ দ্বারা একজন সাবেক সেনাবাহিনী মেজর ও সাবেক এসএসএফ সদস্য এর বুকে গুলি প্রমাণ করে দিলো সরকারের নীতি পরিবর্তন করা হউক –
“এটা স্বাধীন রাষ্ট্র, কোনো পুলিশি রাষ্ট্র নয় ৷ ” রাষ্ট্রের মালিক আমরা জনগন – আমাদের মালিক কোন ও অধিদপ্তর না সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আর প্রকৃত অপরাধী ছাড়া আর কাঊকে যেন চেকিং এর নামে পুলিশি হয়রানি বা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পরতে হয় সেটা নিশ্চিত করা উচিত রাষ্ট্রের সরকারের।
লেখাঃ শাহ্ মোহাম্মদ আদনান
৪র্থ বর্ষ, মার্কেটিং বিভাগ
সরকারী তিতুমির কলেজ